সুজন কৈরী: [২] ফরিদপুরের বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নের ছত্রকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তারা মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম মিলন (৪০)। তিনি চাকরি করতেন ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে।
[৩] চাকরির সুবাদে পরিচিতদের মাধ্যমে সম্প্রতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারের জন্য তদবির করে ত্রাণ হিসেবে কয়েক বান্ডিল ঢেউটিন সহায়তার বরাদ্দ আনেন।
[৪] মঙ্গলবার সকালে একটি পিকআপে করে নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আশপাশের গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে সেই টিন আনতে যাচ্ছিলেন ফরিদপুরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে। কিন্তু পথে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ প্রাণ হারান তিনি।
[৫] নিহত রাকিবুলের ফুফাত ভাই মকিবুল ইসলাম পিকআপে যাত্রী চলাচলের ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এভাবে সবার সামনে পিকআপে ১৫-২০ জন মানুষ যাত্রা করল, অথচ কেউ কিছু বলল না! সড়কপথে এভাবে যাত্রী চলাচল নিষিদ্ধ হলেও কেউ সে আইন মানে না। আবার যাদের দেখভাল করার কথা তারাও কিছু বলে না।
[৬] ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, যে পিকআপে করে তারা যাচ্ছিলেন হয়তো তার চালকের কোনো লাইসেন্সই ছিল না। এ জন্য যখন কেউ কোনো পরিবহনে ওঠবেন, নিজের দায়িত্বশীলতা থেকেই জেনে নেবেন গাড়িটি উপযোগী কি না, কিংবা চালকের বৈধতা আছে কি না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :