সনতচক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর: [২] ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত ৪ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

[৩] সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

[৪] নিহত ১৪ ব্যক্তি হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সত্তরকান্দা গ্রামের তারা মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা ওরফে রফিক (৫৫), স্ত্রী সুমি বেগম (৩০), দুই ছেলে মো. আবু সিনান (৩) ও মো. রুহান মোল্লা (৮), একই গ্রামের ওহাব মোল্লার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৭৩), আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর বাকাইল গ্রামের রশিদ খানের ছেলে তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের মিল্টন শেখের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (২৮) ও মেয়ে নুরানী আক্তার (২), একই গ্রামের নান্নু মোল্লার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫), কুসুমদী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের সৈয়দ নেওয়াজ আলীর মেয়ে কোহিনূর বেগম (৬০), আলেক সরদারের স্ত্রী শুকুরুন্নেছা (৭০), ইব্রাহিম খানের স্ত্রী সূর্য বেগম (৪০) এবং বোয়ালমারীর কুমরাইল গ্রামের মো. ইকবাল হোসেন (৩৫)।

[৫] জানা গেছে, ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। আহত ৭ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে পথমধ্যে একজন ও হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। এরমধ্যে ইকবাল হোসেন নামের একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হলে পথেমধ্যে তিনি মারা যান। 

[৬] ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে মাগুরার উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত ৭ জনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১ জন মারা যান। অতঃপর ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।

[৭] ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/একে