সুজন কৈরী: [২] জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর বিষয়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষকের বক্তব্য এবং পরে এই বিষয়টির পক্ষে আন্দোলনের মাধ্যমে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপপ্রয়াসের চেষ্টা চলছে দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।
[৩] বুধবার মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সমাজ বিজ্ঞান বইয়ে তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী বিষয়ক অধ্যায়ে থাকা ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পের দুইটি পাতা ছিঁড়ে ফেলেন।
[৪] খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে ট্রান্সজেন্ডার আখ্যা দিয়ে শিক্ষা কারিকুলামের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ অপপ্রচার চালাচ্ছে। মহিলা পরিষদ এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
[৫] মহিলা পরিষদ মনে করে, রাষ্ট্র যেমন ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ পরিচয়ে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। মানুষের সহবস্থান নিশ্চিত করাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানায় মহিলা পরিষদ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসকে/এসসি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :