মাজহারুল মিচেল: [২] এডুকো বাংলাদেশ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে ‘বাংলাদেশে কিশোরীদের উপর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা এবং তার প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।
[৩] জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানায়, এ গবেষণার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে কিশোরীদের উপর জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার প্রভাব অনুধাবন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখা।
[৪] কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিশুর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন এর পাশাপাশি অনলাইন নির্যাতনও বেড়ে যাচ্ছে অনেকগুন।
[৫] তার কারণ হিসেবে অধিক পরিমানে ডিভাইসের ব্যবহারকে দায়ী করেন তিনি।
[৬] কিশোরীদের প্রতি জেন্ডারভিত্তিক বৈষম্য নিরসনে প্রথমেই পারিবারিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন, জেন্ডার সমতা বিষয়টি সংবিধানে থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়নের জন্য সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বাড়ানো, সচেতনতা বাড়ানো, মূল্যবোধ ও নৈতিকতার গুরুত্ব রয়েছে।
[৭] তিনি বাল্যবিবাহ নিরসনে ১০৯৮/১০৯ এ কল করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
[৮] এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদ তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা আমাদের কিশোরীদের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হয়। তিনি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিরসনে সরকারের পাশাপাশি সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
[৯] উল্লেখ্য, এডুকো বাংলাদেশ কিশোরীদের উপর জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে উক্ত গবেষনা পরিচালনা করে। এই গবেষণায় ঢাকা শহর, ময়মনসিংহ ও ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে তথ্য সংগৃহীত হয়।
[১০] এই গবেষণায় দেখা যায়, শতকরা ৩৯ ভাগ কিশোরী মানসিক নির্যাতনের শিকার, ৩২ ভাগ শারীরিক নির্যাতনের শিকার, ১৪ ভাগ যথাক্রমে যৌন এবং অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার। শতকরা ৫৪.৯ ভাগ উত্তরদাতারা মনে করেন বাল্য বিবাহ হলো সবচেয়ে ভয়াবহ প্রকারের জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা। শতকরা ৫৫.২০ ভাগ উত্তরদাতা বন্ধু বা সহপাঠীকে, ৪১.৮০ ভাগ উত্তরদাতা প্রতিবেশীকে এবং ২৯.৭০ ভাগ উত্তরদাতা নিকটতম আত্মীয়কে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার জন্য দায়ী করেন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :