ইকবাল খান: [২] চাঁদের মাটি ছোঁয়ার এটি একটি বেসরকারি উদ্যোগ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্পেস এক্সের রকেটে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নোভা-সি ল্যান্ডার। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আইএম-১ মিশন’।
[৩] আনন্দবাজার জনায়, স্পেস এক্সের রকেট থেকে দ্বিতীয় ধাপে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময়ে নোভা-সি ল্যান্ডার মহাকাশ থেকে পৃথিবীর কিছু ছবি তুলে পাঠিয়েছে। সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছে মাস্কের সংস্থা। ল্যান্ডারের পাঠানো চারটি ছবিতে ধাপে ধাপে পৃথিবীর পূর্ণ রূপ দেখা গিয়েছে। প্রথম তিনটি ছবিতে রয়েছে পৃথিবীর টুকরো টুকরো ছবি। চতুর্থ ছবিটিতে পৃথিবী পূর্ণ রূপে ধরা দিয়েছে ক্যামেরায়।
[৪] নাসা সরাসরি যুক্ত না থাকলেও স্পেস এক্সের সঙ্গে এই অভিযান সম্পর্কে চুক্তি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার। ১১ কোটি ৮০ লক্ষ ডলারের সেই চুক্তি অনুযায়ী, চাঁদের মাটিতে নাসার হয়েও গবেষণা এবং অনুসন্ধান চালাবে নোভা-সি ল্যান্ডার। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই ল্যান্ডার চাঁদের মাটি ছোঁবে।
[৫] নোভা-সিতে নাসার ছ’টি পেলোড রয়েছে। চাঁদের আবহাওয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবে সেগুলি। চলতি দশকের শেষে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। তার আগে পৃথিবীর উপগ্রহটির পরিবেশ, আবহাওয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি গবেষণার জন্য স্পেস এক্সের অভিযানকেও কাজে লাগানো হচ্ছে।
[৬] গত ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে ভারতের ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে। তার পেট থেকে বেরিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে ১০ দিনের বেশি সময় সক্রিয় ছিল তারা। নানা অনুসন্ধান চালিয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর এত কাছে এই প্রথম কোনও দেশ মহাকাশযান অবতরণ করিয়েছে। চন্দ্র অভিযানে সেই সঙ্গে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারত হয়েছে চতুর্থ সফল দেশ।
আপনার মতামত লিখুন :