শিরোনাম
◈ শুধুমাত্র আ‌মে‌রিকার কার‌ণে ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকে আছে: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ◈ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে ◈ 'তাৎক্ষণিক ও শর্তহীন' যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় চুক্তি ◈ শহীদ মাহফুজের গল্প: সেনা হতে চাওয়া কিশোর আজ ইতিহাসের রক্তাক্ত পাতা ◈ নোয়াখালী শহর ডুবল ৩ ঘন্টার বৃষ্টিতে, দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ ◈ ৭ জরুরি নির্দেশনা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ◈ ৫ সমন্বয়ক গ্রেফতারের খবরে বেদনায় নীল হয়ে গেছি, এ কোন দুর্দিনে আমরা? মির্জা ফখরুল ◈ জয়েই আস্থা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের! গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত ◈ জোয়ারের পানিতে ক্ষতবিক্ষত সেন্টমার্টিন, চার দিন পর শুরু নৌযান চলাচল ◈ লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, উল্টে গেছে ২ বগি

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৯ দুপুর
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

৩৯ জন স্ত্রী আর ৯৪ সন্তান নিয়ে ১০০ কামরার ‘প্রাসাদে’ থাকতেন ‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের’ কর্তা!

এল আর বাদল : উত্তর-পূর্বের রাজ্য মিজ়োরাম। পাহাড়ি এই রাজ্যের বাকতাওয়াং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জিয়ংহাকা ওরফে জিয়ন। সেই গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসীই ছিলেন জিয়নের পরিবারের সদস্য। ১০০ ঘরের একটি চারতলা ‘প্রাসাদে’ পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন জিয়ন। পরিবার বলতে মাত্র ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান-সন্ততি!

প্রথম বিয়ে ১৭ বছর বয়সে। অর্থাৎ, সাবালক হওয়ার আগেই সংসার পেতেছিলেন জিয়ন। জিয়নের সংসারে ধীরে ধীরে স্থান করে নিয়েছিলেন আরও ৩৮ জন তরুণী। ১৯৪৫ সালে জন্ম হয় তাঁর। জিয়নের প্রথম স্ত্রী জাথিয়াঙ্গি ছিলেন তাঁর থেকে তিন বছরের বড়। তার পর থেকে একের পর এক বিয়ে করে গিয়েছেন তিনি।

মিজ়োরামের রাজধানী আইজ়ল থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরের গ্রামটিতে জিয়ন তাঁর স্ত্রীদের নিয়ে একই ছাদের নীচে সংসার করতেন। প্রতি স্ত্রীর জন্য পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়ন। তিনি নিজেও তাঁদের সঙ্গে বাস করতেন ওই একই বাড়িতে। তাঁর ঘরের লাগোয়া ঘরেই থাকতেন স্ত্রীরা।

শুধু ৩৯ জন স্ত্রী নন, জিয়ন রেখে গিয়েছেন ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন পুত্রবধূ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি। রেখে গিয়েছেন বলার কারণ হল ২০২১ সালে ৭৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন ‘বিশ্বের বৃহত্তম পরিবার’-এর কর্তা জিয়ন।

জিয়নের ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। তিন দিন ধরে বাকতাওয়াং গ্রামে বাড়িতেই চিকিৎসা চলেছিল তাঁর। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আনার কিছু ক্ষণ পরেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।

অনেক সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বে আর কারও এত জন স্ত্রী নেই। বাকতাওয়াং গ্রামে তাঁর চারতলা বাড়িটি পর্যটকদের কাছে একটা আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে। ২০১১ ও ২০১৩ সালে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘রিপ্লে’জ় বিলিভ ইট অর নট’-এ স্থান পেয়েছিল এই পরিবার।

Xএক জনপ্রিয় ভারতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল জিয়নের পরিবার। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জীবনযাত্রা, জিয়নের অন্দরমহলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল সেই বিজ্ঞাপনে।

জিয়নের পরিবারটি ‘চানা পাওল’ নামের একটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। এই সম্প্রদায়ের ২ হাজার অনুসারী রয়েছেন। এই সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জিয়নেরই ঠাকুরদা। ১৯৪২ সালে সম্প্রদায়টির গোড়াপত্তন হয়। চানা সম্প্রদায়ে বহুবিবাহের অনুমতি রয়েছে।

জিয়নের দাদুর পরে বংশানুক্রমিক ভাবে সম্প্রদায়ের নেতা হন জিয়নের বাবা। ১৯৯৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর, উত্তরসূরি হিসাবে এই সম্প্রদায়ের নেতা হন জিয়ন। তিনি এক বছরের মধ্যে ১০ জন নারীকে বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে শেষ বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জিয়ন। তাঁর কনিষ্ঠতম স্ত্রীর বয়স ছিল ২৫ বছর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়