এম এম লিংকন: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য,১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন , আমাদের সংবিধান নিয়ে যারা কথা বলে তারা জাতীয় শত্রু। সংবিধান অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করে জনগণের সামনে স্বাধীনতাবিরোধীদের শাস্তি দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা ১৪ দল স্বাধীনতার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু রচিত সংবিধান পক্ষে কাজ করে আসছি। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচলভাবে জাতীয় চার মূলনীতির ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যাবো।
বিএনপি কেন নির্বাচনে আসতে ভয় পায় তা স্মরণ করে দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, সরকারে ছিল কে? ফখরুদ্দীনের পরিচয় ছিল কী? জিয়াউর রহমান কর্তৃক নিয়োজিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিল কে? জেনারেল মতিন।পরিচয় কী? খালেদা জিয়ার সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। মঈন উদ্দিন কে? ছয় জনকে বাদ দিয়ে খালেদা জিয়া যাকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিলেন। সেদিন যে লোকগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করা হয়েছে তারা ছিল বিএনপিপন্থী। তারপরও তারা সেই নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। এই কারণে তারা নির্বাচনকে ভয়কে পায়।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম,বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, বাংলাদেশের গনতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাৎ হোসেন,গন আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গনতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হুুমায়ুন কবীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এমএএস