শিরোনাম
◈ হামজা চৌধুরীর দুর্দান্ত পারফর‌মেন্স, ফাইনালে শেফিল্ড ইউনাইটেড ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বৈদ্যুতিক শাটল গাড়ি চালু ◈ ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা কে এই আয়েশা ফারুক? ◈ গার্ডিয়ান থেকে বিবিসি; পশ্চিমা গণমাধ্যম কীভাবে ইসরাইলি অপরাধকে স্বাভাবিক হিসেবে প্রচার করে? ◈ রংপুর রাইডার্স এবা‌রো‌ গ্লোবাল সুপার লি‌গে অংশ নি‌চ্ছে ◈ রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আলোনসো ◈ রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আনচেলত্তি ব্রা‌জি‌লের প্রধান কো‌চের দা‌য়িত্ব নে‌বেন ২৬ মে ◈ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে কেন আসছে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের কথা? ◈ দায়িত্ব নিলেন নতুন সিআইডি প্রধান  ◈ এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৩:১৭ দুপুর
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৩, ০৩:১৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

রিয়াদ হাসান: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ ভয় পেলে চলবে না। আবারো আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে, যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে আবারো পুরোনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি।

রোববার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না। যারা প্রতিবাদী, তারাও আর সত্য কথা বলে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন? আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সে সময় বলেছিল যে, বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায়, পরে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। এমনকি আওয়ামী লীগ ওই দাবিতে দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল। বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। একপর্যায়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সে সময় দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

তিনি বলেন, এরা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। যতদিন বাংলাদেশে থাকবে, ততদিন তারা ক্ষমতায় থাকবে, এটা কখনোই কোনো গণতান্ত্রিক সংবিধান হতে পারে না। সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। জনগণ যদি মনে করে আমি এটাকে পরিবর্তন করব, তাহলে তারা পরিবর্তন করতে পারবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারি ভাব সবসময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। সে জন্যই সে সময় ৩০ হাজার তরুণ যুবককে হত্যা করেছে। কারণ, তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছিল। জনগণ তাদের বিরুদ্ধে এমন খেপে গিয়েছিল যে, তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল।

জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরএ/এসএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়