শহীদ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যাখ্যাসহ দুই দফা দাবি না মানার অভিযোগ তুলে নতুন কর্মসূচি ও দাবি ঘোষণা করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ হাদি চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইনকিলাব মঞ্চের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি ও উচ্চকিত সম্মতিতে ঘোষিত ইনকিলাব মঞ্চের দুই দফা দাবির একটি দাবিও বাস্তবায়ন করা হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সহ-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাখ্যা দেননি। পাশাপাশি সিভিল ও মিলিটারি গোয়েন্দা সংস্থার ওপর প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেসব সংস্থা থেকে শেখ হাসিনার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া অতিরিক্ত আইজিপিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে শহীদ ওসমান হাদি হত্যার ঘটনাকে তুচ্ছ ও গুরুত্বহীন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে—এমন অভিযোগও তোলে ইনকিলাব মঞ্চ। এসব প্রেক্ষাপটে সংগঠনটি নতুন কর্মসূচি ও দাবি ঘোষণা করতে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে।
এর আগে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির জানাজার আগে বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। সেই সময় তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি তুলে ধরেন।
জাবের বলেন, খুনি, হত্যার পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে জনসমক্ষে এসে গত এক সপ্তাহে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিভিল ও মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য দেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার রফিকুল ইসলাম।