মনিরুল ইসলাম: সিলেট-৬ আসনে সাধারণ মানুষের মুখে এখন একটাই নাম—দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত, ‘হাসনরাজা’ খ্যাত অভিনেতা ও বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক হেলাল খান। দেশে ও প্রবাসে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রিয় মুখ এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দীর্ঘদিন ধরে দলের সংকটময় সময়, আন্দোলন, ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) যেন আসন্ন নির্বাচনে পুনর্বিবেচনা করে হেলাল খানকে মনোনয়ন দেয়।
হেলাল খান শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি একজন সমাজসেবক ও সংস্কৃতিকর্মীও। বাংলাদেশ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর আহ্বায়ক হিসেবে তিনি জাতীয়তাবাদী দর্শন ও দেশপ্রেম সংস্কৃতি অঙ্গনে ছড়িয়ে দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এই নেতা রাজপথে যেমন সক্রিয়, তেমনি দুর্যোগ, মহামারি কিংবা বন্যার সময় দুর্গত মানুষের পাশে থেকেছেন নিরলসভাবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হেলাল খান দলের একজন জনপ্রিয় মুখ, যিনি তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে সিলেট অঞ্চলের বিএনপি নতুন উদ্যম ও ঐক্য ফিরে পেয়েছে।
২০১৫ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে হেলাল খানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়। তবুও তিনি দলের প্রতি নিষ্ঠা ও মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার থেকে এক মুহূর্তও সরে যাননি।
সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন—সিলেট-৬ আসনে হেলাল খানই জনগণের প্রত্যাশার প্রতীক ও পরিবর্তনের আশার আলো। তাঁকে মনোনয়ন দিলে তিনি জনগণের ভালোবাসায় নির্বাচিত হবেন, এতে তারা দৃঢ় বিশ্বাসী।
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে হেলাল খান: “মানুষের শিল্পী”
বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নাম হেলাল খান। অভিনয়, সংগীত ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তরুণ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক চর্চায় উৎসাহিত করাই তাঁর লক্ষ্য।
জাসাসের নেতৃত্বে তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করেন, যদি বিএনপি তাঁকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে সিলেট-৬ শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, সাংস্কৃতিকভাবেও নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে। তাঁর নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম, সঙ্গীত, নাটক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা পুনরুজ্জীবিত হবে—যা এক অর্থে একটি সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের সূচনা ঘটাবে।
ঐক্যবদ্ধ জাসাস: সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদের মেলবন্ধন
হেলাল খানের নেতৃত্বে জাসাস এখন ৬৪ জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। তাঁর বিশ্বাস—
“সংস্কৃতি জাতির আত্মা, আর জিয়াউর রহমানের আদর্শ সেই আত্মাকে পথ দেখায়।”
এই বিশ্বাস থেকেই তিনি জাসাসকে এমন এক প্ল্যাটফর্মে রূপ দিয়েছেন, যেখানে শিল্পীরা কেবল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নয়, বরং জাতীয় চেতনা ও গণতন্ত্রের বার্তাও ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হেলাল খান আজ শুধু রাজনীতির নয়, মানবতার প্রতীক। সাধারণ মানুষের মুখে একটাই কথা— “হেলাল খান বাংলাদেশের যে কোনো আসনে মনোনয়ন পেলে জনগণের ভালোবাসায় বিজয়ী হবেন।”