মনিরুল ইসলাম: পবিত্র ঈদুল আজহা এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুক্ত পরিবেশে উদযাপন করবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি রাজধানীর গুলশানের 'ফিরোজা' বাসভবনে আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। তবে শর্মিলা রহমান ইতোমধ্যে তাদের দুই কন্যা—জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের কাছে ফিরে গেছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ডা. জুবাইদা রহমান কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তিনি সেখানে স্বামী তারেক রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।
বিএনপি নেতাদের ঈদ কর্মসূচি
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির শীর্ষ নেতারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় এবং নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে অংশ নেবেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানের আজাদ মসজিদে, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশান সোসাইটি মসজিদে, মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুর ঈদগাহ ময়দানে, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কেরানীগঞ্জে স্থানীয়দের সঙ্গে ঈদ করবেন।
অন্যান্যদের মধ্যে:
ড. আব্দুল মঈন খান – নরসিংদীর পলাশ,
নজরুল ইসলাম খান – বনানী ডিওএইচএস মসজিদে,
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী – চট্টগ্রামে,
সালাহউদ্দিন আহমেদ – কক্সবাজারে,
সেলিমা রহমান – ঢাকায়,
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু – সিরাজগঞ্জে,
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ – বনানীর বড় মসজিদে,
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন – ধানমন্ডিতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবং বেগম সারোয়ারী রহমান গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাসায় অবস্থান করছেন।
জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা, চেয়াপার্সনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। রাতে গুলশানের 'ফিরোজা'য় চেয়াপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন নেতারা।
বিভাগভিত্তিক নেতাদের ঈদ কর্মসূচি
ঢাকা বিভাগ:
আবদুস সালাম পিন্টু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, হাবিব-উন-নবী সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, তাবিথ আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, এম এ কাইয়ুম প্রমুখ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ:
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ডা. মো. আনোয়ারুল হক, এজমল হোসেন পাইলট, সালমান ওমর রুবেলসহ অনেকে অংশ নেবেন।
রাজশাহী বিভাগ:
মিজানুর রহমান মিনু, দুলু, হারুনুর রশিদ হারুন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ফারজানা শারমিন পুতুল, ফজলে হুদা বাবুলসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেবেন।
রংপুর বিভাগ:
আসাদুল হাবিব দুলু, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ডা. মঈনুল হোসেন সাদিক, তাসভীর উল ইসলাম, মির্জা ফয়সাল আমিন, সাইফুর রহমান রানা প্রমুখ ঈদ উদযাপন করবেন।
খুলনা বিভাগ:
শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, নার্গিস বেগম, আজীজুল বারী হেলাল, টি এস আইয়ুব, অধ্যাপক সোহরাব উদ্দিন, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ঈদ উদযাপন করবেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ:
বরকত উল্লাহ বুলু, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মেয়র শাহাদাত হোসেন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মির্জা হেলাল, সাঈদ আল নোমান প্রমুখ নেতারা স্থানীয় কর্মসূচিতে থাকবেন।
সিলেট বিভাগ:
আরিফুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রুশদির লুনা, নাসের রহমান, কয়েস লোদী, জিকে গউস ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
ফরিদপুর বিভাগ:
মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু, শামা ওবায়েদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ নিজ এলাকায় ঈদ পালন করবেন।
বরিশাল বিভাগ:
এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জহির উদ্দিন স্বপন, হায়দার আলী লেলিন, রাজিব আহসানসহ অনেকেই ঈদে কুশল বিনিময় করবেন।
কুমিল্লা বিভাগ:
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, বিল্লাল হোসেন তারেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।