শিরোনাম
◈ গাজার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়ল ◈ গাজীপুরে ককটেল ফাটিয়ে ২টি কাভার্ডভ্যানে আগুন ◈ সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জার মারা গেছেন ◈ দেশজুড়ে বিএনপির ১২ ঘণ্টার হরতাল শুরু ◈ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে ব্যাপক চাপ আছে: ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ◈ পিটিআই চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন ইমরান খান ◈ মার্কিন শ্রম অধিকার নীতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে ◈ নির্বাচনে বাধা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা নিরব কেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের ◈ ২৮০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি ◈ জনগণ স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৫৭ বিকাল
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৫৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গতবছরের চেয়ে ২০২২ সালে বেড়েছে হতাহতের সংখ্যা: ওশি ফাউন্ডেশন

ওশি ফাউন্ডেশন

মনজুর এ আজিজ : গতবছরের তুলনায় ২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ওশি ফাউন্ডেশন। এবছর ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট হতাহত হয়েছে ১১৯৫ জন শ্রমিক। যার মধ্যে নিহত ৯৬৭ জন এবং আহত ২২৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫২ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৪ জন। আর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৮১৫ জন এবং আহত হয়েছেন মোট ১৩৪ জন। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন ওশি ফাউন্ডেশন। 

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংস্থার পরিচালক মো. আলম হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক এমএম কবীর মামুন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইশরাত জাহান, এমআইএস অফিসার মো. সোহেল শেখ, মনিটরিং অফিসার মো. নূর আলম, ডক্যুমেন্টেশন অ্যাসিসটেন্ট মো. সুমন হাওলাদার প্রমুখ।

লিখিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওশি ফাউন্ডেশন এর পরিবীক্ষণের আওতায় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসকল দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সারাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে দুর্ঘটনায় মোট ১১৯৫ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে মোট ২৪৬ জন শ্রমিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৯৪৯ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন। উল্লেখ্য গতবছর ২০২১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মোট ১০৮৯ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছিলেন। 

২০২২ সালে কর্মক্ষেত্রে ১১৯৫ জন শ্রমজীবী মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তার মধ্যে নিহত হয়েছেন মোট ৯৬৭ জন আর আহত হয়েছেন মোট ২২৮ জন। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে যে ৯৬৭ জন নিহত হয়েছেন তার মধ্যে নারী শ্রমিক ছিলেন ২৪ জন আর পুরুষ শ্রমিক ছিলেন ৯৪৩ জন। আর অপ্রাতিষ্ঠানিকব খাতে যে ২২৮ জন আহত হয়েছেন তার মধ্যে নারী শ্রমিক ছিলেন ২৮ জন এবং পুরুষ শ্রমিক ছিলেন ১৯০ জন।

২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানিক খাতে যে ৯৬৭ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন পরিবহন খাতে। এই খাতে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪৭৬, যার মধ্যে ৪২৫ জন নিহত আর ৫১ জন আহত হয়েছেন যা মোট হতাহতের ৪০ শতাংশ। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হতাহতের দিক দিয়ে পরিবহন খাতের পরেই রয়েছে সেবামূলক খাত। এই খাতে মোট ২৭০ জন শ্রমিক হতাহতের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ২১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন আর ৫৯ জন আহত হয়েছেন যা মোট হতাহতের ২৩ শতাংশ। এই সেবামূলক খাতের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, হোটেল/ রেস্টুরেন্ট, সরকারি সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মি প্রভৃতি। 

সেবাখাতের পর রয়েছে কৃষিখাত। এই খাতে মোট ১৩৯ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন আর ১৫ জন আহত হয়েছেন এর মধ্যে রয়েছে ফসল উৎপাদন কর্মী, জেলে, চা- শ্রমিক, গরু ও মুরগির খামার ইত্যাদি। যা মোট হতাহতের ১২ শতাংশ।  

এরপর রয়েছে নির্মাণ খাত। এবছর নির্মাণ খাতে মোট ১৩৪ জন শ্রমিক বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১০৫ জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন যা মোট হতাহতের ১১ শতাংশ। আর ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে মোট হতাহতের সংখ্যা ১০০ জন, যার ৬৭ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত যা মোট হতাহতের ১৮ শতাংশ। 

এবছর তৈরি পোশাক শিল্প খাতে মোট ৫৪ জন হতাহতের শিকার হন। এরমধ্যে ২৮ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং ২৬ জন আহত হন যা মোট হতাহতের ৪ শতাংশ। আর জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে হতাহতের সংখ্যা মোট ২২ জন, যার মধ্যে নিহত ৭ জন এবং আহত ১৫ জন যা মো হতাহতের ২% শতাংশ। 

গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর মোট ১১৯৫ জন শ্রমজীবী মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ বছর সবচেয়ে বেশি শ্রমিক হতাহত হয়েছেন আগস্ট মাসে। এ মাসে মোট হতাহতের সংখ্যা ১৪২ জন যার মধ্যে ১১৭ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়াও জানুয়ারি মাসে ৮১ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৯ জন, মার্জ মাসে ৭৫ জন, এপ্রিল মাসে ৯৯ জন, মে মাসে ৯৬ জন, জুন মাসে ১০২ জন, জুলাই মাসে ১২০ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৯ জন, অক্টোবর মাসে ১১৬ জন, নভেম্বর মাসে ৭৮ জন এবং ডিসেম্বর মাসে (১-২৯ তারিখ পর্যন্ত) মোট ৬৮ জন শ্রমিক হতাহত হয়েছেন। 

এমএএ/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়