শিশির ভট্টাচার্য্য: জ্ঞানচর্চার চারটি ধারা: জেরুজালেম, এথেন্স, কর্ডোভা আর রোম। জেরুজালেম বলে, তুমি যাই আবিষ্কার করো না কেন, সব আসলে ধর্মগ্রন্থে আছে। তুমি শুধু চাকা পুনরাবিষ্কার করছো। জ্ঞানের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত ঈশ্বরকে জানা, আর কিছু নয়। কর্ডোভা বলবে, আল্লাহ সৃষ্টির সর্বত্র প্রকাশিত হয়ে আছেন। তুমি গবেষণা করে তাঁকে জানার চেষ্টা করো। এথেন্স বলবে, জ্ঞানের জন্যেই জ্ঞান। জ্ঞানচর্চার কোন উদ্দেশ্যেও প্রয়োজন নেই। এর প্রয়োগ আছে কি নেই তা ভেবে জ্ঞানচর্চা করা চলে না। প্রয়োগ থাকলে ভালো, না থাকলেও কিছু এসে যাবে না। রোম বলবে, সেই জ্ঞানই দরকার যা কাজে লাগবে। কিছু জেরুজালেম থেকে নাও, কিছু নাও এথেন্স থেকে, দুটির কমবেশি গোঁজামিল দিয়ে নোটবই লিখে বাজারে ছেড়ে দাও। ছেলেমেয়েরা মুখস্থ করে পাস করে, চাকরি পেয়ে কাজ চালিয়ে নেবে, তোমারও টু-পাইস পকেটে আসবে। জেরুজালেমের উদাহরণ ধর্মগুরুদের কথাবার্তা। এথেন্সের সবোর্ত্তম উদাহরণ সক্রেটিস।রোমের উদাহরণ: আধুনিক কালের কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার আর এমবি. এর দল। কর্ডোভা আর এথেন্সের ঐতিহ্য কবেই হারিয়ে গেছে। এই চারটি শিক্ষা-দর্শনের কারিকুলামও আলাদা হবে। ফেসবুকে ১০-১২-২৩ প্রকাশিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :