ইমতিয়াজ মাহমুদ: একটা সার্কুলার ভেসে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। হবিগঞ্জ জেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্দেশ দিচ্ছে যে পূজাতে নির্দিষ্ট কিছু সময় বাদ্যযন্ত্র, মাইক ইত্যাদি বাজানো যাবে না। আমরা তো জানি যে সন্ধ্যার দিকেই পূজা মণ্ডপগুলিতে ভিড় হয়, অনুমান করি পূজার কর্মযজ্ঞও এই সময়টাতেই বেশি থাকে। এই সময়টাতেই একটা উল্লেখযোগ্য সময় বাদ্যযন্ত্র ও মাইক বাজানো যাবে না। এরকম আদেশ দেওয়া অন্যায় ও অবৈধ। বাংলাদেশেরই একদল মানুষ ওদের ধর্মপালন করবে সেখানে এইরকম শর্ত দেওয়া সে তো দৃশ্যতই অন্যায় এবং এটা অবৈধ। প্রথমত ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে এই ক্ষমতা কে দিয়েছে যে, তারা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপর এইরকম শর্ত আরোপ করবে? ইসলামিক ফাউন্ডেশন আইন দ্বারা গঠিত একটা সংস্থা। যে আইনে ওদের গঠন করেছে সেই আইনে ফাউন্ডেশনকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে? না।
বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের অধিকার আছে যার যার ধর্ম পালন করার। হোক সে খ্রিস্টান, ইহুদী, মুসলমান বা বৌদ্ধ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাজ মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে, সেটা ওরা করুন। হিন্দুরা তাদের ধর্ম পালন করতে গিয়ে কী করবে বা না করবে সেটা বলার আপনি কে? এমপি নির্দেশ দেন, পুলিশ অফিসাররা বলেন এটা করবেন না, ওটা করতে দেবো না, সেটা করেন ইত্যাদি। এইগুলো তো অন্যায়। স্পষ্টতই অন্যায়। আপনার পছন্দ অনুযায়ী বা আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনার নির্দেশ মেনে হিন্দুদের পূজা করতে হবে? এইটা কীরে ভাই? এই সহজ ও মৌলিক কথাটা ঢোকে না সেগুলো কেমন মগজ। লেখক: আইনজীবী। ফেসবুকে ১৯-১০-২৩ প্রকাশিত হয়েছে।