হাসান মোরশেদ: এই ২০২৩ সালে এসে নির্বাচনী প্রচারণায়, বিশেষ করে সিটি এলাকায় মাইকের ব্যবহারের প্রকৃত উপযোগিতা কতোটুকু? প্রচণ্ড গরম, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি এই ভয়াবহ শব্দ দূষণ নাগরিক জীবনে বাড়তি উৎপাত আর কিছু যোগ করছে বলে তো মনে হয় না। নির্বাচনে জয়ী হবার জন্য প্রয়োজন সংগঠন, জনসংযোগ, সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি এবং নাগরিকদের আস্থা অর্জন। জয়ী হবার সম্ভাবনা শতভাগ থাকলেও প্রকৃত ‘জনসম্পৃক্ত’ রাজনীতিবিদ হতে হলে এই কাজগুলো করতেই হবে।
এর কোনটির জন্যই কি উচ্চস্বরে মাইকিংয়ের আদৌ প্রয়োজন আছে? তাও রং বেরংয়ের গানের সুরে সুরে...‘স্মার্ট’, ‘ডিজিটাল’Ñ এইসব শব্দ দেদারসে ব্যবহৃত হচ্ছে। অথচ একজন মেয়রপ্রার্থীরও ওয়েবসাইট নাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ভালো কন্টেন্ট নাই। নগর এলাকায় সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষটিকেও এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের প্রতিশ্রুতি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
কোন প্রার্থীর উল্লেখযোগ্য নিজস্ব প্রতিশ্রুতিও দেখি না। এই যে একটা বৃষ্টিমগ্ন সবুজ নগরী এখন মরুভূমির মতো তেতে আছে, তাপমাত্রা বেড়ে গেছে ভয়ানকÑ এর ভুক্তভোগী তো সব শ্রেণীর মানুষ। নির্বাচিত হলে শহরের চারপাশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে, রোপন করা হবে এতো লক্ষ বৃক্ষÑ এরকম সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না? শুধু পরিবর্তনের গল্প শুনালেই তো হবে না। পরিবর্তন কীভাবে করা হবে সেই পরিকল্পনাগুলোও বলা দরকার। স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টভাবে। গানের তালে তালে মাইকের উচ্চ স্বরে নয় অবশ্যই। মানুষ প্রচুর বিরক্ত আছে। লেখক ও গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :