হাসান মোরশেদ: ‘৮০র দশক পর্যন্ত মফস্বল পর্যায়ের সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকেরা নিজেদের জীবন যাপন ও সন্তান পালনে একধরনের কৃচ্ছ্রতা সাধন ও নৈতিকতা বজায় রাখতেন। আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যদি ওই ব্যাপারগুলো ধরে রাখা যেতো, তাহলে বোধহয় সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যাপারটি আরও টেকসই হতো। যদিও জানি, এটা উইশফুল থিংকিং। পুঁজিবাদী সিস্টেমে মেট্রিক্সের একেবারে নীচে থাকা একটা সোসাইটিতে এটা আসলে হয় না। এই পর্যায়ে মানুষ নীতিনৈতিকতা, ভবিষ্যত বিবেচনার ধার ধারে না।
যা পায় সবটুকুই ভোগে ব্যয় করে, ভোগে টান পড়লে অস্থির হয়ে পড়ে। সে কেবলই সুখে থাকতে চায়, ব্যত্যয় ঘটলে নিজের সমালোচনার বদলে অপরকে সবকিছুর জন্য দায়ী করতে থাকে। ভোগবাদের প্রতিযোগিতায় নিজের জীবন-যাপনের ব্যয় এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যেখান থেকে সে আর ফিরতে পারে না। কৃচ্ছ্রতা সাধনের প্রয়োজন দেখা দিলে সে অস্থির হয়ে উঠে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে, অস্বাভাবিক আচরণ করে। পুঁজিবাদের মৌল সূত্র এটাই। লেখক ও গবেষক