শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজী নজরুল ইসলাম : নানা রূপে, নানা রঙে

শারফিন শাহ

শারফিন শাহ: [১] কাজী নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, ‘রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।’

[২] প্রতিভা বসু তার ‘জীবনের জলছবি’ বইতে তথ্য দিয়েছেন যে, কাজীদা ভয়াবহ অন্ধকারেও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট দেখতে পেতেন। তিনি ঘোর অন্ধকারেও বহু দূরের কোনো বস্তুর নাম বলে দিতে পারতেন।

[৩] নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথের গীত বিতানের সবকটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন! একবার রবীন্দ্রনাথের সামনে শান্তিনিকেতনে তিনি গান গাওয়া শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ অবাক হয়ে বললেন, ‘ওরে এত মহা স্মৃতিধর হে! আমারই গীতবিতানের গান ঠিকমত মনে থাকে না আর এর সব মুখস্থ।’

[৪] বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সবধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তার গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো! যেগুলোর অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি। [৫] কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পরিমাণে পান ও চা খেতেন। তিনি লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন। পান শেষ করে চা আবার চা শেষ করে পান খেতেন।

[৬] নজরুল ছিলেন সতিকারের হস্তরেখাবিষারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন তাই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যই কয়েকদিনের মধ্য বিদেশ চলে গেলো! আরেকজনকে বললো, আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন, পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল। [৭] মাঝে মাঝে রাগান্বিত হলে নজরুল তার সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।

[৮] অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসেবি।তিনি হাতে টাকা আসলেই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আমোদ-ফূর্তি করে শেষ করে দিতেন আর বলতেন, আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে৷ চিন্তার কোনো কারণ নেই। [৯] নজরুল তার সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন।

[১০] নজরুলের চিকিৎসক ড. অশোক বাগচী জানান, বাঙালি লেথকদের মাঝে নজরুলই একমাত্র সুঠাম দেহ, উজ্জ্বল চোখ, আর বলিষ্ঠ কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন।

[১১] নজরুল তার কবিতার বই, গানের রেকর্ড স্বত্ব বিক্রি করে চকলেট রঙের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনেছিলেন, যেটি তখনকার দিনে সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি ছিলো।

[১২] নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদ ভ্রমণে যেতেন।

[১১] নজরুল কখনো ধূমপান ও মদ্যপান করেননি।

তথ্যসূত্র: নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে প্রকাশিত নজরুলের স্মৃতিচারণমূলক বই অতীত দিনের স্মৃতি, আব্দুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত নজরুল ইসলাম বিষয়ক সাক্ষাৎকার, প্রতিভা বসুর বই জীবনের জলছবি, সাবিত্রী চ্যাটার্জির আমাদের নজরুল এবং বিভিন্ন জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশিত নজরুল ইন্সটিটিউটের পত্রিকা। লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়