শিরোনাম
◈ দিল্লিতে সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’ মানচিত্রের বিষয়ে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ◈ মাধ্যমিক স্কুলের প্রাথমিক শাখারও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা ◈ কোন দেশের রাষ্ট্রদূত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোন কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ◈ অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল ◈ মহাদেবপুরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, নিহত ৪ ◈ আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনেছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ মে মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশ, এক দশকে সর্বোচ্চ ◈ টিপু হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ◈ নায়ক ফারুকের আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম ◈ ঢাকায় এলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান 

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাজী নজরুল ইসলাম : নানা রূপে, নানা রঙে

শারফিন শাহ

শারফিন শাহ: [১] কাজী নজরুল ইসলাম কোনো অনুষ্ঠানে গেলে ঝলমলে রঙিন পোশাক পরতেন। কেউ তাকে রঙিন পোশাক পরার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, ‘রঙিন পোশাক পরি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।’

[২] প্রতিভা বসু তার ‘জীবনের জলছবি’ বইতে তথ্য দিয়েছেন যে, কাজীদা ভয়াবহ অন্ধকারেও দিনের আলোর মতো স্পষ্ট দেখতে পেতেন। তিনি ঘোর অন্ধকারেও বহু দূরের কোনো বস্তুর নাম বলে দিতে পারতেন।

[৩] নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথের গীত বিতানের সবকটি গান মুখস্থ করে ফেলেছিলেন! একবার রবীন্দ্রনাথের সামনে শান্তিনিকেতনে তিনি গান গাওয়া শুরু করলেন। রবীন্দ্রনাথ অবাক হয়ে বললেন, ‘ওরে এত মহা স্মৃতিধর হে! আমারই গীতবিতানের গান ঠিকমত মনে থাকে না আর এর সব মুখস্থ।’

[৪] বাংলা গানে নজরুলই একমাত্র ব্যক্তি যিনি সবধরনের বিষয় নিয়ে গান লিখেছেন। তার গানের সংখ্যা অনেকে চার হাজার বললেও আসলে তিনি গান লিখেছিলেন প্রায় আট হাজারের মতো! যেগুলোর অধিকাংশই সংরক্ষণ করা যায়নি। [৫] কাজী নজরুল ইসলাম প্রচুর পরিমাণে পান ও চা খেতেন। তিনি লিখতে বসার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ চা আর এক থালা পান নিয়ে বসতেন। পান শেষ করে চা আবার চা শেষ করে পান খেতেন।

[৬] নজরুল ছিলেন সতিকারের হস্তরেখাবিষারদ। তিনি অনেকের হাত দেখে যা বলতেন তাই ঘটতে দেখা গেছে। একবার এক লোককে বললেন আপনার বিদেশযাত্রা আছে, লোকটি সত্যই কয়েকদিনের মধ্য বিদেশ চলে গেলো! আরেকজনকে বললো, আপনি পৃথিবীর বাইরে চলে যেতে পারেন, পরে ওই লোকটির মৃত্যু ঘটেছিল। [৭] মাঝে মাঝে রাগান্বিত হলে নজরুল তার সামনে যদি কোনো বই-খাতা পেতেন বা কাগজ পেতেন তা ছিঁড়ে কুচি কুচি করে ফেলতেন।

[৮] অর্থের ব্যাপারে নজরুল ছিলেন ভয়াবহ বেহিসেবি।তিনি হাতে টাকা আসলেই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আমোদ-ফূর্তি করে শেষ করে দিতেন আর বলতেন, আমি আমার হাতের টাকা বন্ধুদের জন্য খরচ করছি আর যখন ওদের টাকা হবে ওরাও আমার জন্য খরচ করবে৷ চিন্তার কোনো কারণ নেই। [৯] নজরুল তার সন্তানদের খুবই ভালোবাসতেন। এমনকি তিনি তাদের নিজ হাতে খাওয়াতেন আর ছড়া কাটতেন।

[১০] নজরুলের চিকিৎসক ড. অশোক বাগচী জানান, বাঙালি লেথকদের মাঝে নজরুলই একমাত্র সুঠাম দেহ, উজ্জ্বল চোখ, আর বলিষ্ঠ কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন।

[১১] নজরুল তার কবিতার বই, গানের রেকর্ড স্বত্ব বিক্রি করে চকলেট রঙের একটি ক্রাইসলার গাড়ি কিনেছিলেন, যেটি তখনকার দিনে সবচেয়ে বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি ছিলো।

[১২] নজরুল ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা ভাড়া করে মাঝেমধ্যে প্রমোদ ভ্রমণে যেতেন।

[১১] নজরুল কখনো ধূমপান ও মদ্যপান করেননি।

তথ্যসূত্র: নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে প্রকাশিত নজরুলের স্মৃতিচারণমূলক বই অতীত দিনের স্মৃতি, আব্দুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত নজরুল ইসলাম বিষয়ক সাক্ষাৎকার, প্রতিভা বসুর বই জীবনের জলছবি, সাবিত্রী চ্যাটার্জির আমাদের নজরুল এবং বিভিন্ন জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশিত নজরুল ইন্সটিটিউটের পত্রিকা। লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়