শিরোনাম
◈ শিক্ষক-কর্মচারীদের মাধ্যমিক স্তরে বদলি ও পদায়নের নতুন নির্দেশনা ◈ হাজিদের সোয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত দেবে সরকার ◈ জরুরি অবস্থা ঘোষণায় বিরোধীদলের অংশগ্রহণ ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষার সুপারিশ ◈ গভীর রা‌তে ক্লাব বিশ্বকা‌পের ফাইনাল, এই আ‌য়োজ‌নে ফিফার আয় ২৪ হাজার কোটি টাকা ◈ সিরিজ বাঁচা‌তে রা‌তে শ্রীলঙ্কার মোকা‌বিলা কর‌বে বাংলা‌দেশ ◈ চীনের সুপার ড্যাম,: ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগ ও বাস্তবতা ◈ ভেরিফিকেশন ছাড়া আর নয় শিক্ষক নিয়োগ: কার্যকর হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন পরিপত্র ◈ সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হলেও জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: বিবিসি বাংলাকে সিইসি ◈ সন্ত্রাসীদের ধরতে যে কোন সময় সারাদেশে চিরুনি অভিযান: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৩:১৮ রাত
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ০৮:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, দ্য ল্যানসেটের শোকবার্তা এবং একটি গর্বের দিন

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: আমার জন্য একটি আনন্দের ও গর্বের দিন ছিলো। হঠাৎ চোখে পড়লো বিশ্বসেরা মেডিকেল জার্নাল ‘the Lancet’ আমাদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে, তাকে সম্মান জানিয়ে একটি মৃত্যবার্তা ছাপিয়েছে। মানে ল্যান্সেটের মতো জার্নাল আমাদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে শোকবার্তা ছাপিয়েছে। আমাদের ছাওয়ালকে নিয়ে। অসাধারণ একটি বার্তা ছাপিয়েছে কারণ তারা মানুষ চিনে এবং ভালো মানুষকে সম্মান জানাতে জানে। 

The Lancet লিখেছে ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য কোনো চ্যালেঞ্জই অপ্রতিরোধ্য ছিলো না। তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যিনি ১৯৭১ সালে আপন দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোদ্ধা ও ডাক্তার হিসেবে যোগদানের জন্য বিলেতে ডাক্তারি পড়া ছেড়ে আসেন। তিনি বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র (জিকে) নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশে কমিউনিটি স্বাস্থ্য পরিষেবার পুনর্গঠন করে এবং নারী স্বেচ্ছাসেবকদের উন্নত করেছিলো। তিনি ওষুধের জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ধার্যকৃত মূল্যকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, শিক্ষামূলক পরিষেবার সম্প্রসারণের জন্য চাপ দিয়েছিলেন এবং, যখন তিনি দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত হন, তখন বাংলাদেশে কম খরচে কিডনি ডায়ালাইসিসের সর্বজনীন অ্যাক্সেসের পক্ষে কথা বলেন। হেলথ অ্যাকশন ইন্টারন্যাশনাল (এইচএআই) এশিয়া প্যাসিফিকের অনারারি কো-অর্ডিনেটর বেভারলি স্নেল বলেছেন, ‘there was absolutely no end to what he would take on’। ‘কোথাও অন্যায় হলে তিনি সেখানে থাকবেন এটা যেন অবধারিত ছিলো।

তিনি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যের ন্যায়বিচার এবং স্বাস্থ্যের ন্যায়বিচারে অগ্রগামী ছিলেন। তিনি সততা, ক্ষমতার সঙ্গে সত্য কথা বলার জন্য একজন অনুকরণীয় সাহসী সৈনিক’। এই আর্টিকেলটি সবার পড়া উচিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বাংলাদেশের সরকার কিংবা জনগণ কেউই দেশের সত্যিকারের হিরো বা হীরা চিনতে জানে না। যারা আমাদের দেশ এবং দেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে বেশি দিতে পারতো তাদের আমরা সবচেয়ে বেশি অপমান, অবহেলা করেছি। এর মূল কারণ আমাদের দেশের পচা গলা রাজনীতি আর দেশের মানুষের তাদের নেতাদের প্রতি অন্ধ আনুগত্য। আমরা সব কিছু নেতার চোখ দিয়ে দেখি, নেতার বোধ দিয়ে ভাবি। নেতা বলেছে অমুক খারাপ। ব্যাস, শুরু হয়ে যাবে সেই মানুষের কাপড় খোলা। দৈনিক পত্রিকা, টিভি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক আড্ডাখানাতেও চলবে এই বস্ত্র হরণের পালা। ওইদিকে ওই নেতা নিজের শরীরেই যে কাপড় নেই বলদ মুরিদদের চোখে সেটা পরে না। জীবদ্দশাতেই এমন একজন মানুষকে নিয়ে অনেকবার লিখতে পেরেছি (কোনো কিছু প্রাপ্তির আশায় নয়) ভেবে আনন্দ পাই। নিজের বিচার বুদ্ধি বিবেচনা ঠিক আছে জেনে স্বস্তি পাই।

লেখক: শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়