শিরোনাম
◈ পূর্বাচল প্লট জালিয়াতি মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড ◈ পূর্বাচল প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড ◈ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ, তবে তৃতীয় দেশে পাঠাতে চায় ভারত; যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আগ্রহী শেখ হাসিনা ◈ জাতীয় নির্বাচনের আগে যে তিন চ্যালেঞ্জের মু‌খোমু‌খি বিএনপি ◈ বেহাল দশা লিভারপু‌লের, নি‌জের মাঠেই হে‌রে গে‌লো ডাচ ক্লাবের কাছে ◈ ব্রিটেনে ন্যূনতম মজুরি বাড়ল: আগামী এপ্রিল থেকে ঘণ্টায় বাড়বে সব বয়সের শ্রমিকদের আয় ◈ বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-১ গো‌লে হারা‌লো আ‌র্সেনাল ◈ তারেক রহমান এখনও ভোটার নন, ডিসেম্বরে দেশে এসেই ভোটার হবেন: দলীয় সূত্র ◈ ফিফা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত কর‌লো, বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলতে পারবেন রোনালদো ◈ কেন বিবিসির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মানহানি মামলা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০২:২৭ রাত
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০২:২৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনি বিচারক, যে কেউই আপনার কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বিচারপ্রার্থী নয়

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন 

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন: আমার স্যার ম্যাম ডাকতে বা শুনতে সমস্যা নেই। বরং সম্পর্কহীন লোকজনকে ভাই বা আপা বানাইতেই বেশি সমস্যা হয়। তাই কাউকে এড্রেস করতে সাধারণ ডাকটা স্যার ম্যামেই স্বস্তি। এছাড়া দেখেন ক্রেডিটকার্ডওয়ালা, সুপারশপ, কাস্টমার কেয়ার ওরা তো সাধারণভাবে স্যার ম্যাম বলেই ডাকে। ওরাই এই ডাকটাকে গম্ভীর কঠিন বস্তু থেকে তরল করে দিয়েছে। এই স্যার ‘বেনিয়াদের স্যার’ নয়। সম্মানের সঙ্গে কী নামে এড্রেস করছে সেটার সম্পর্ক নেই। পর্নো মুভিতেও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রচুর স্যার ম্যাম ডাকতে ডাকতে শীৎকার ধ্বনি দেয়। এরা পরস্পরকে রেস্পেক্ট করতেসে বলে তো মনে হয় না। সমস্যাটা হয়েছে আসলে ‘আমি হনু’ দেখানোর অপচেষ্টা থেকে। পজিশনে আপনি যেই হন না কেন, কিছু কিনতে গেলে আপনি শুধু কাস্টমার, বাচ্চার স্কুল গেলে শুধু অভিভাবক, পার্টনারের কাছে একজন স্বামী বা স্ত্রী, পরিবারের কাছে শুধুই পরিবার। আপনার পারিবারিক মর্যাদা, অর্থ, ক্যারিয়ার সাফল্য যাই আপনার ঝুড়িতে থাকুক না কেন ক্রাইম করলে আপনি কেবল একজন ক্রিমিনাল। ‘আমি হনু’ নীতি খাটবে না খাটানোর চেষ্টা করবেন না। 

[১] আপনি শিক্ষক তবে মনে রাখবেন সবাই আপনার ছাত্র না। [২] আপনি বিচারক, যে কেউই আপনার কাঠগড়ায় দাঁড়ায়ে থাকা বিচারপ্রার্থী না। [৩] আপনি বিত্তশালী আপনার টাকা দিয়ে আমি বাজার করি না। দোকানে গিয়ে, বাচ্চার স্কুল গিয়ে, এখানে সেখানে পজিশন দেখানো ৯০ দশকের গুন্ডাগিরির মত দেখা যায়। এতে সম্মান তো হয়ই না বরং ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ পারসোনালিটি রিভিল হয়ে হাস্যকর দেখা যায়। একবার একটি ৪ বছরের শিশুকে দেখেছি স্কুলের দারোয়ানকে আদেশ দিতে যে গাড়ির দরজা যেন খুলে দেয় যেন সে সালাম দেয়। বাবাটি গর্বের মুচকি হাসি চেপে ওই গার্ডকে ১০০ টাকা দেয়।

আমরা এবং আমাদের শিশুরা কাদের সঙ্গে মিশবে সেটা খেয়াল করা উচিত। পজিশন দেখে দুম করে মিশতে শুরু করবেন না। সম্পর্কে চুজি হইতে হয়। বিশ্বাস করেন ১০ বছর আগে আমার সঙ্গে যারে যারে দেখছেন এখনও সেই সেই এবং তারা তারাই আমার বন্ধু। চট করে কাউকে একসেস দিই না চট করে নিইও না। আমরা যারা বিত্তে মধ্যম, ক্যারিয়ারে মধ্যম, জীবনযাত্রায় মধ্যম সাবধান হতে হয় আমাদেরই বেশি। আমাদের কালচার নর্মস এগুলো জনম জনম ধরেই আলাদা। আমার মনে হয় স্যার ডাকা নিয়ে আপত্তিটা না তুলে যে বা যারা নিজের পজিশন দেখিয়ে নিয়ম অমান্য করে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। লেখক: সম্পাদক, উইম্যানভয়েসবিডি.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়