শিরোনাম
◈ খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন, আইসিইউতেই সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হচ্ছে: ডা. জাহিদ ◈ তফসিল ঘোষণার পর কার্যকর আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগপত্র: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ◈ বাংলাদেশকে হা‌রি‌য়ে সি‌রি‌জে সমতা আন‌লো পা‌কিস্তান  ◈ দুই উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কেন হত্যা? এবার যা বললেন গৃহকর্মী আয়েশার স্বামী ◈ ধানের শীষ বিজয়ী হলে দেশ রক্ষা পাবে: তারেক রহমান ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফিফা শান্তি পুরষ্কার দিয়ে রী‌তিমত বিপ‌দে পড়েছেন সংস্থার সভাপতি ইনফা‌ন্তি‌নো ◈ অচিরেই তারেক রহমান দেশে ফিরে দেশ ও দলের হাল ধরবেন: মির্জা আব্বাস ◈ পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ ◈ গৃহকর্মীর হাতে মা-মেয়ের মৃত্যু: হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘ভাই বলে ডাক যদি দেব গলা টিপে’!

আর রাজী

আর রাজী: মানুষের নাম রাখা হয়, ডাকার জন্য। সবাইকে তার নাম ধরে ডাকলে চলে না? পা, মানে পদ ধরে, মুণ্ডু ধরে ডাকার কোনো প্রয়োজন কী আছে? আর সাথে কোনো বিশেষণ জুড়ে দেওয়ার দরকারটাই বা কি? অনেকে বলছেন, ‘স্যার’ না, পদবির সাথে ‘সাহেব’ জুড়ে ডাকা যেতে পারে। যেমন ঝাড়ুদার-সাহেব! 

‘সাহেব’Ñ এই শব্দটা বিচিত্র অর্থে ব্যবহার হয়। ওটিকে বিবি-গোলামের সাথে তাশের ঘরে থাকতে দেওয়াই নিরাপদ। তবে সাহেবের প্রভুত্বব্যাঞ্জক অর্থের বাইরে আর যে অর্থ আছে তার অন্যতমটি হচ্ছে ‘সঙ্গী’। সেই অর্থ ‘সম্মানিত সাহাবী’দের জন্যই বরং তোলা থাকতে পারে। এছাড়া নকল ইউরোপিয় বুঝাইতে যে ‘সাহেব’ ব্যবহৃত হইতো সেইটা চলতে পারে। আমাদের অধিকাংশ সাহেবই তো আদতে ভেকধারী ইউরোপিয়!  

ভাই-আপা সম্বোধন সর্বস্তরে, সব বয়সীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য আমার কাছে দারুণ লাগে। নাম দেখে বা পোশাক দেখে কিংবা বাইরে থেকে যতক্ষণ বা যতদিন নর ও নারী পৃথক করার উপায় থাকবে, কিংবা নর-নারী ভিন্ন চেহারায় ধরা দিতে থাকবেন ততোদিন নরের জন্য ভাই আর নারীর জন্য আপা, দারুণ বাংলাদেশি সম্বোধন হইতে পারে। তাই কী? 

মা-বাবা যদি সন্তানদের এমন নাম রাখেন যাতে মানুষটি নর না নারী তা বুঝা দুষ্কর হয়ে উঠে কিংবা সন্তানরা তেমন (এন্ড্রোজিনি) নাম নিজেরা যদি গ্রহণ করেন; বাইরের থেকে নর-নারী বুঝবার উপায়েরও যদি অবসান ঘটে তখন ভাই-আপা জুড়ে নাম না ডাকে কেবল নাম ধরে ডাকলেই চলবে। তবে কোনো অবস্থাতেই মানুষের সঙ্গে মানুষের বৈষম্য প্রকাশিত হয়, মানে কাউকে ঊর্ধ্বতন, কাউকে অধস্তনরূপে সনাক্ত করা যায়Ñ এমন সম্বোধন প্রকাশ্যে চলতে পারে না। এই সমাজে, এই রাষ্ট্রে আমার মা, আমার বাবা, আমার ভাই-বোন, আমার সন্তানরা কারো চেয়ে কম বা বেশি মর্যাদার নন। আমি চাই এমন এক রাষ্ট্র, এমন সমাজ যেখানে আমাকে কেউ ‘স্যার’ বলবে না, আমিকেও কাউকেই ‘স্যার’ বলতে হবে না।
 লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়