মাসুদ রানা: আমি বিশ্বের বহু দেশে গিয়েছি এবং আগ্রহের সঙ্গে অসংখ্য শিল্পকর্ম দেখেছি। মুগ্ধ হয়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও অধিক সময় নিয়ে ওই সমস্ত শিল্পকর্ম পরখ করেছি, উপভোগ করেছি। লণ্ডনে, ডাবলিনে, প্যারিসে, বার্লিনে, মিউনিখে মস্কৌতে, সেণ্ট পিটার্সবার্গে, প্রাগে, রৌমে, ফ্লৌরেন্সে, ভ্যানিসে, মিলানে, ভিয়েনাতে, বুদাপেস্টে, তালিনে, রিগাতে, হেলসিঙ্কিতে, লিসবনে, ব্রাসেলসে, নিউইয়র্কে, ওয়াশিংটনে, ফিলাডেলফিয়াতে, লসএঞ্জেলেস, লাস ভেগাসে, টরেণ্টোতে, মণ্ট্রিয়েলে, সিডনীতে, মেলবৌর্ণে যেখানেই গিয়েছি তাদের নগর-চত্বরে, পার্কে ও মিউজিয়ামে প্রচুর স্ট্যাচু দেখেছি।
আমি সততার সাথে বলছি, যতো দেশের যতো স্ট্যাচু দেখেছি, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের মতো এতো নিম্নমানের দেখিনি। বাংলাদেশে এক অপরাজেয় বাংলা ছাড়া কোনো একটি স্ট্যাচুরই ন্যূনতম কোনো সৌন্দর্য্য নেই। স্ট্যাচুগুলোর সব হাস্যকর অবয়ব, যা কাঁচা হাতের তৈরি মাটির পুতুলের চেয়েও অধম।
বাংলাদেশের স্ট্যাচু বানানো ওয়ালা-ওয়ালীদের চেয়ে হিন্দুদের দেব-দেবীর প্রতিমা বানানো শিল্পীরা অনেক-অনেকগুণ চৌকস ও সুষমা-বোধ সম্পন্ন। আমাদের মানুষেরা কী বুঝে যে ঐ সমস্ত হাস্যকর স্ট্যাচু বানানো শৈল্পিকগুণ রহিত তথাকথিত শিল্পীদের গুণকীর্তন করে, বুঝি না। হায়, বাঙালী, হায় বাংলাদেশ! লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড