শিরোনাম
◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র ◈ সিলেটে ফিলিং স্টেশনে আগুন ◈ শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানি চেষ্টার নিন্দা জানালেন শেখ হাসিনা ◈ শেখ হাসিনাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন  ◈ আইনি সহায়তা দিতে ‘পরামর্শ কর্মকর্তা’ নিয়োগ দেবে সরকার ◈ মিঠাপানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর  ◈ কোরবানিতে চাহিদার চেয়ে পশু বেশি: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ◈ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভারত সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে: মির্জা ফখরুল ◈ ক্যাসিনোহোতা সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিল, দিতে হবে জরিমানা

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:৪৫ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:৪৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা কবে হবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা?

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: জাতিসংঘ, ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪। বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্ম উৎসর্গকারীদের অভিবাদন, বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়া সব দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাতৃভাষা বাংলায় অবিস্মরণীয় এক বক্তৃতা করেন বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৮ দিনের মাথায় সাধু ভাষায় দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল সমগ্র বিশ্বের অধিকারবঞ্চিত নির্যাতিত-নিষ্পেষিত মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিশ্বশান্তি, ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ উ”চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ। ইতোমধ্যেই জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বক্তৃতা দেয়ার সময় পেরিয়ে গেছে ৪৮ বছর। বাংলাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মর্যাদার আসনে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি। বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার প্রস্তাব দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্টদের মতে, দাবি আদায়ের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। এ জন্য সংস্থাটির সব নথিপত্র অনুবাদের বিশাল খরচ মেটাতে হবে বাংলাদেশকেই। প্রয়োজন নিজ দেশে সর্বস্তরে মাতৃভাষা চালু। সেই সঙ্গে জরুরি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন আদায়। পথ যতই দুর্গম হোক, দাবি আদায়ে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ- যা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্ত্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিক ব্যপ্তি লাভ করে। যদিও এর আগে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ৩০তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আরও পেছনে ফিরে গেলে রবীন্দ্রনাথের নোবেল কিংবা সত্যজিৎ রায়ের অস্কার জয়ের কথা বলতে হয়। তবে মূলত গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে ও বিদেশে থাকা বাংলাদেশীদের মধ্যে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবিটি জোরালো হ”েছ। এ দাবি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনার আগে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাগুলো সম্পর্কে একটু আলোচনা করতে চাই।

বর্তমানে জাতিসংঘে মোট ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা রয়েছে। ইংরেজি, চাইনিজ মান্দারিন, রুশ,স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ ও আরবি। জাতিসংঘে ব্যবহৃত এ ছয়টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যা”েছ রুশ ও স্প্যানিশ ভাষাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে গিয়ে ২৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অন্যদিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির ৯ বছর পর আরবি ভাষা নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পেতে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। জাতিসংঘ চার্টারের গঠনতন্ত্রেও কোনো নির্দেশনা ছিল না। এমনকি জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষাগুলো জনসংখ্যার ভিত্তিতে সঠিক প্রতিনিধিত্ব করে না। বর্তমানে ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দৌড়ে বাংলার পাশাপাশি রয়েছে পর্তুগিজ, জার্মান, ইতালিয়ান, জাপানিজ, হিন্দি ও উর্দু। প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব যুক্তি। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বক্তৃতার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাকে সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা করার আনুষ্ঠানিক দাবি তুলেছেন একাধিকবার।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল বিজয়, বিশ্ববাঙালি সত্যজিৎ রায়ের অস্কার পুরস্কার, বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের বোসন কণা, আচার্য জগদীশ বসুর গাছের প্রাণ আবিষ্কার বিশ্বজুড়ে বাঙালিকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে গবেষকদের মতে, এসব প্রাপ্তির ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে বড় অর্জন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন। ভাষার জন্য রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে বাঙালিরা সারা বিশ্বে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে একাত্তরে বিজয় অর্জন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতিসংঘে এসব তথ্য তুলে ধরে বাংলা ভাষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, বিশ্বের সব মাতৃভাষা রক্ষায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলা ভাষাসহ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি বাংলাকে সমর্থনের আহবান জানাতে হবে। জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পেতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ, পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভায় প্রস্তাবটির সমর্থনে একই ধরনের প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। সমর্থন মিলেছে অন্যান্য ভাষাভাষী অঞ্চল থেকেও। ২০০২ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দাবি আদায়ের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। 

জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভাষাগত অবস্থান বিবেচনায় হিন্দির অবস্থান ৪র্থ হলেও কেন এটি সপ্তম ভাষা হিসেবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হবে না? আবার ৬ষ্ঠ স্থানে থাকা বাংলা ভাষা ও ৭ম স্থানে থাকা পর্তুগিজ ভাষাকে বাদ দিয়ে ৮ম স্থানে থাকা রুশ ভাষা কিভাবে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পেয়ে গেলো? সমীকরণ মিলাতে গেলে আরো গভীর বিশ্লেষণ করতে হবে, মূলত হিন্দি ভাষাভাষীর সংখ্যা আরবির চেয়ে বেশি হলেও ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হয়। সেই অর্থে হিন্দি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী বেশি হলেও প্রায়োগিক অর্থে হিন্দি ভাষার ব্যবহার আরবির চেয়ে কম। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ হিন্দি ভাষায় কথা বলে এবং ভারতে কোনো ভাষাই জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃত নয়। হিন্দিকে ভারতে বলা হয় দাপ্তরিক ভাষা আর ইংরেজি দ্বিতীয় দাপ্তরিক ভাষা। বাংলা ভাষার অবস্থান বিশ্বে ৬ষ্ঠ হলেও এ ভাষাটি মাত্র ৩টি দেশের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, অন্যদিকে রুশ ভাষার অবস্থান ৮ম হলেও বিশ্বের ৩৮ টি দেশের দাপ্তরিক ভাষা রুশ।

বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার প্রস্তুতি নিলেই হবে না।এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে বাংলা ভাষাকে নিরাপত্তা পরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘ ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার প্রতিযোগিতায় হিন্দি, বাংলা ভাষার প্রতিদ্বন্দ্বী নয় কারণ বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলেও ভারতের কোনো রাষ্ট্র ভাষা নেই। ভারতে ২২ টি ভাষাই দাপ্তরিক।

বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভাষা ''অফিসিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ'' হিসেবে ব্যবহৃত হয় আবার অনেক রাজ্যে ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হয়। সে অর্থে ভারত জাতিসংঘে সপ্তম ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার দৌড়ে পিছিয়ে থাকবে। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দাবিটি কিš‘ বাংলাদেশ সরকারকেই আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করে রেজুলেশন আনতে হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত বাংলাদেশের দাবিটির প্রতি অন্য সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন থাকলেই বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অš‘র্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। তবে তার আগে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সকল ডকুমেন্ট বা দলিল বাংলায় অনুবাদ করার ব্যয়ভার বহন করার জন্য সম্মত হতে হবে।

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হওয়ার আগে প্রয়োজন সর্বস্তরে মাতৃভাষা চালু। নতুবা সবই ভেস্তে যাবে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস করা হয়েছে কিš‘ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর স্বপ্ন এখনো সফল হয়নি। স্বাধীন দেশে উ”চবিত্ত-মধ্যবিত্তরা নানাভাবে ঔপনিবেশিক রাজভাষা ইংরেজি চালু রেখেছে। কিš‘ পরিশ্রম করে রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে সর্বস্তরে চালু করার প্রয়োজন বোধ করেনি কেউ। যে কারণে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার ক্ষেত্রে এখনো বাংলা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। রক্তে অর্জিত ভাষা অনেক আগেই জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হওয়া উচিত ছিল; কি সর্বস্তরে মাতৃভাষা চালু হওয়ার স্বপ্নই যেখানে অধরা রয়ে গেছে, জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দূর হাঁটতে হবে। এ জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এ নিয়ে আরো সংগ্রাম করতে হবে। জগাখিচুড়ি ভাষা বন্ধ করে প্রমিত উ”চারণে কথা বলা প্রয়োজন। অন্যদিকে কিছু শব্দ ইংরেজি ও অন্যান্য পরিভাষা থেকে নেয়া যায়, এতে দোষের কিছু নয়; তবে সব শব্দ ধার করা নয়। ভাষার ক্ষেত্রে যেমন রক্ষণশীলতা, গোঁড়ামি চলবে না তেমনি মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা-উপেক্ষা করা চলবে না। বাংলা ভাষার আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। বিজ্ঞান বিশেষত: চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক আগে থেকেই বাংলা ভাষার চর্চা হ”েছ। আদালতের রায়ে বাংলা চালু হওয়াও অসম্ভবের কিছু না। বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ও সাহিত্যিক সমৃদ্ধিকে আড়াল করে রাখা নেহাত বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃত এবং ২০১০ সালে জাতিসঙ্গের সাধারণ পরিষদ ‘এখন’ থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস হিসাবে পালিত হবে’ প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আর এভাবেই বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া চলমান। বাংলা আজ শুধু বাংলাদেশের ভাষা নয়, এটি বিশ্বের কাছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টিকারী পরিচিত ভাষা। আর এই পরিচয় দেয়ার প্রথম অবদানটুকু হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।

১৯১৩ সালে তার অমর কাব্য গীতাঞ্জলি তাকে এনে দেয় ‘নোবেল পুরস্কার’ আর এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী জানতে পারে বাংলা ভাষার কথা, শুরু হয় বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় সারা পৃথিবীতে একুশে আমাদের মননের বাতিঘর হিসেবে। একুশ এখন সারা বিশ্বের ভাষা ও অধিকারজনিত সংগ্রাম ও মর্যাদার প্রতীক। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের অহংকার ‘শহীদ মিনার’।
লেখক: সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়