শিরোনাম
◈ ‘আমি একজন হতভাগী, পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম, দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন’ ◈ গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহর খোঁজ নিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দ্রুত সুস্থতা কামনা ◈ ভারতীয় সীমান্তে সক্রিয় চক্র, দেখতে আসল কিন্তু জাল টাকা! (ভিডিও) ◈ নিউ ইয়র্কের মেয়র মামদানি উগান্ডার ক্রিকেট লিগে খেলেছেন ◈ জামায়াত নেতার ‘নো হাংকি পাংকি’ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন মাসুদ কামাল ◈ ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর: বাংলাদেশ ঘিরে কৌশলগত চাপ বাড়াতে ভারতের নতুন পদক্ষেপ ◈ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব নিয়ে ঢাকায় হবে সুপার কাপ ফুটবল  ◈ ‌ক্রিশ্চিয়া‌নো রোনালদোর কাছে সৌদি আর‌বের চেয়ে স্পেনে গোল করা সহজ ◈ কয়েকশ কারখানা বন্ধ ও লাখো শ্রমিক বেকার, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের ◈ বাংলাদেশি কোম্পানির বিদেশে বিনিয়োগ ১৮ দেশে, স্থিতি ৩৫ কোটি ডলার

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০১:৪০ রাত
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০১:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণ এশিয়ায় গবেষণায় বাংলাদেশ তলানিতে, এই লজ্জা কোথায় রাখি?

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: নেচার ইনডেক্স গবেষণায় দেশ ভিত্তিতে একটি র‌্যাংকিং করেছে। সেই র‌্যাংকিংয়ে চীন ১ নম্বরে, আমেরিকা দ্বিতীয় স্থানে, জার্মানি তৃতীয় আর ইংল্যান্ড চতুর্থ। আমেরিকা, জার্মানি ও ইংল্যান্ড আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাসে সর্বদাই ১ থেকে ৩ নম্বরে ছিল। এইবার নতুন বিশ্বে চীন এসে ১ নম্বরে চলে আসে। চলে আসার প্রথম সূত্র হলো প্রথমে কিছু ওয়ার্ল্ড ক্লাস বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট বানানো। তারপর শিক্ষকতা ও গবেষণায় সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং এরপর ট্যালেন্ট হান্ট। আজ তারা তার সুফল পাচ্ছে। এইদিকে এশিয়ার মধ্যে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াও খুব ভালো করছে।

আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কার কি অবস্থান জানতে চান? নেচার ইনডেক্সে ভারতের অবস্থান ১০ মানে দক্ষিণ এশিয়ায় ১ নম্বরে। নেচার ইনডেক্সে পাকিস্তানের অবস্থান ৩৯ মানে দক্ষিণ এশিয়ায় দুই নম্বরে। নেচার ইনডেক্সে নেপাল ৮১ নম্বরে আর দক্ষিণ এশিয়ায় ৩ নম্বরে। নেচার ইনডেক্সে শ্রীলংকার ৮৭ অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় এর অবস্থান ৪ নম্বরে। আর বাংলাদেশ ১০৩! মানে দক্ষিণ এশিয়ায় গবেষণায় বাংলাদেশ তলানিতে। এই লজ্জা কোথায় রাখি? আর ভিয়েতনামের অবস্থান শুনবেন? ভিয়েতনামের অবস্থান হলো ৪৫। আর আমাদের সরকার বলে পৃথিবী নাকি আমাদের উন্নয়ন দেখে অবাক। শিক্ষায় জিডিপির ২% দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় এর চেয়ে ভালো করা সম্ভব না। তারপর এখন যেই নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে যাচ্ছে সেটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের অবস্থান আরো তলানিতে নামবে।

হবে না কেন? যেখানে ইউনেস্কো বলে একটি দেশকে অন্তত তার জিডিপির ৫.৫% শিক্ষায় বরাদ্দ দেওয়া উচিত সেখানে আমরা দিই ১.৮% থেকে ২.১% এর মতো। এই টাকার বেশির ভাগই চলে যায় চুরি-চামারি আর অবকাঠামোর উন্নয়নে। সত্যিকারের শিক্ষা ও গবেষণায় তেমন ব্যবহারই করা হয় না। আমাদের সরংবৎধনষব শিক্ষাও গবেষণার কথা বিবেচনায় নিয়ে এই খাতে উন্নতি করতে হলে আমাদের উচিত জিডিপির ৭% বরাদ্দ দেওয়া। আমরা মেগা প্রকল্প নেই অবকাঠামো উন্নয়নে। এর চেয়ে বড় বলদামি কি আর হয়? আগে দালানকোঠার অবকাঠামো বানাবো নাকি মানুষের ব্রেইন, মেধা গঠন করব? যতদিন আমাদের সরকারেরা এইটা না বুঝবে ততদিন আমরা তলানিতেই নামতে থাকব। লেখক: শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়