শিরোনাম
◈ কালরাত স্মরণে এক মিনিটের ‘ব্ল্যাক আউটে’ বাংলাদেশ ◈ নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর মাকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিএনপি নেতা আটক ◈ যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে টর্নেডোর আঘাতে ২৩ জনের মৃত্যু ◈ আওয়ামী লীগকে এবার ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলার সমৃদ্ধি ক্ষতিপূরণ পেল ২৩৭ কোটি টাকা ◈ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ব্যর্থতায় ২৫ মার্চের গণহত্যা হয়েছিল: মির্জা ফখরুল ◈ দুবাইয়ে আরাভ খান আটক হওয়ার তথ্য জানা নেই: আইজিপি ◈ নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি ‘কোমল’ মনোভাব দেখানোর জন্যে ১০ বিচারপতিকে মৃত্যুদণ্ড সৌদি সরকারের ◈ একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি ◈ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে  সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৯ রাত
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩, ০২:০৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ-পদবি পদক প্রসঙ্গ

নূহ উল আলম লেনিন

নূহ উল আলম লেনিন: গুণী নির্গুণ নির্বিশেষে খ্যাত বা অখ্যাতদের সমাজে বিশেষ সম্মানজনক অবস্থানের জন্য পদ-পদবি পদক পাওয়াটা খুবই জরুরি। ঔপনিবেশিক আমল, পাকিস্তান আমলের মতো স্বাধীন বাংলাদেশ আমলেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত। আমাদের দেশে অন্তত তিনটি পদক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা হিসেবে  স্বীকৃত। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার। নিঃসন্দেহে প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রদানের নীতিমালা বা মানদণ্ড আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ব্যক্তিরাই পদক/পুরস্কার পান এ কথা ঠিক। কিন্তু এর ব্যত্যয় যে ঘটেনা তা নয়। এর ব্যত্যয় ঘটে স্বাধীনতা ও একুশে পদকের ক্ষেত্রে। অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে বিতর্কিত ভূমিকা সত্ত্বেও কোনো কোনো ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে পুরস্কারটিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। অনেক সময় আদর্শগত অবস্থান ঠিক থাকলেও, যাকে/যাদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সে বা তারা প্রত্যাশিত যোগ্যতা সম্পন্ন নন।

একুশে পদক নিয়ে তো প্রায়শ অযোগ্য ও অখ্যাত ব্যাক্তিদের নিয় সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। আর বাংলা একাডেমিও এ থেকে মুক্ত নয়। জীবনে কোনো গবেষণা না করে বা লেখালেখি না করে (ভাড়াটে লেখক দিয়ে লিখিয়ে) ‘লেখক/গবেষক/সাহিত্যিক’ বাংলা একাডেমি পুরস্কার বা ফেলোশিপ পেয়েছেন, এমন অভিযোগও কম নয়। এসব ভুলের  জন্য  এই তিনটি পুরস্কারের ক্ষেত্রেই বহু যোগ্য ও বরেণ্য ব্যক্তি পুরস্কার বঞ্চিত হয়েছেন ও হচ্ছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত এ জন্য হস্তক্ষেপ করতে হয়। বিশেষত স্বাধীনতা ও একুশে পদকের ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের অজ্ঞতা, নিজস্ব পছন্দ, প্রভাশালীদের চাপ বা তদ্বিরে নীতিচ্যুত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। 

মনে আছে এক ক্ষুদে আমলা তাঁর অখ্যাত অলেখক পিতার জন্য একুশে পদক ম্যানেজ করেছিলেন। পরে নাগরিকজনের প্রতিবাদে ঘোষিত নাম সরকার প্রত্যাহার করে নেয়। এই পুরস্কারগুলো যাতে প্রকৃত যোগ্য ও গুণী ব্যক্তিরা পায়, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে, প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হোক। প্রকৃত গুণীজনকে বলবোÑ মন্ত্রীপাড়া ও সচিবালয়ে পদ-পদবি ও পদকের জন্য হ্যাংলার মতো তদ্বির করা নিজেদের ছোট করবেন না। আপনার কাজই আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে, পদক-পুরস্কার নয়। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়