শিরোনাম
◈ নির্বাচন নিয়ে চাপের মুখে অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের হুমকি: নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ যমুনায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন ◈ আন্দোলনের পর সেনানিবাসে আশ্রয়: ২৪ রাজনীতিবিদ কে কোথায় ◈ বৃক্ষমেলায় হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ, আতঙ্কে এলাকাবাসী ◈ আজ পৃথকভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বসবে বিএনপি ও জামায়াত ◈ ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানাল আরব আমিরাত ◈ ​বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: প্রয়োজন বাণিজ্য কূটনীতি ◈ বেনাপোল বন্দর উদ্ভীদ সংগনিরোধ ভবনে ল্যাবে জনবল শুণ্য, পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধে ঝুকিতে কৃষিক্ষাত! ◈ জাতিসংঘের সতর্কবার্তা: বড় ধাক্কার মুখে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো ◈ আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৫, ০৩:১৭ রাত
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আন্দোলনের পর সেনানিবাসে আশ্রয়: ২৪ রাজনীতিবিদ কে কোথায়

গত বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত গেলেও অনেক আওয়ামী লীগ নেতা, মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, বিচারপতি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টসহ দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৬২৬ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়। খবর: দৈনিক আমার দেশ।

যাতে দেখা যায়, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-এমপি, মন্ত্রী আশ্রয় নেন। পরে এরা সুবিধাজনক সময়ে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। বর্তমানে এরা কে কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, এ ২৪ জনের মধ্যে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন। তিনি ক্যান্টনমেন্টে রয়েছেন বলে এর আগে একাধিকবার সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। সাবেক ডেপুটি স্পিকার শাসুল হক টুকু রয়েছেন লন্ডনে।

দেশে কারাগারে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, শাহজাহান খান, সাবেক এমপি বহু বিতর্কিত সায়েদুল হক সুমন (ব্যারিস্টার সুমন নামে পরিচিত), বগুড়া-৬ আসনের সাবেক এমপি রাগিবুল আহসান রিপু, আওয়ামী লীগ নেতা সুজন সাত্তার, সাবেক এমপি এমএ লতিফ ।

এদের মধ্যে ভারতে পালিয়ে গেছেন টাঙ্গাইলের ত্রাস, সাবেক এমপি ছোট মনির, আওয়ামী লীগ নেতা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহির, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক এমপি একেএম রেজাউল করিম তানসেন, সাবেক এমপি নাজমা আকতার, জামালপুরের মাদারগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম।

এদের কেউ কেউ ভারতের কলকাতা, মেঘালয় ও দিল্লিতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা- সাবেক এমপি ইকবালুর রহিম এবং যশোরের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী রয়েছেন লন্ডনে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ কামাল দেশে রয়েছেন।

কাউন্সিলর এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ, এসএম ফয়সাল আহমেদ রানা, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লবের অবস্থান সম্বন্ধে জানা যায়নি। খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুন নাহার এখনো দেশে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে একাধিক অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার আইএসপিআর জানায়, প্রাণনাশের আশঙ্কায় যেসব ব্যক্তি সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পাঁচজন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ৫১ জন পরিবার-পরিজন (স্ত্রী ও শিশু)।

সব মিলিয়ে মোট ৬২৬ জনকে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়। সংস্থাটি জানায়, ওই সময় শুধু মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঝুঁকিতে থাকা এসব মানুষের প্রাণরক্ষা করাই ছিল সেনাবাহিনীর মূল উদ্দেশ্য।

আইএসপিআর আরো জানায়, পরিস্থিতি উন্নয়নসাপেক্ষে, আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশির ভাগই এক-দুদিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন এবং এর মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ-মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আইএসপিআর আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একই দিন ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্য ব্যতীত) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়