শিরোনাম
◈ মসজিদভিত্তিক শিক্ষা প্রকল্প: বকেয়া বেতন না পেলে সরব না, দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ ছয় শিল্প গ্রুপের সম্পদের সন্ধান আরব আমিরাতে: অর্থ ফেরাতে সরকারের জোরালো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ ◈ ইশরাকের শপথ দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা, আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের স্লোগান ◈ “দায়িত্ব পালনে ন্যায়ের পথে, একাকীত্বেও অনড় শফিকুল আলম” ◈ যে প্রস্তাব দিতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন ড. ইউনূস! (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশকে এড়িয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিকল্প সংযোগে মিয়ানমার-মহাসড়ক পথ বেছে নিচ্ছে ভারত ◈ বাংলাদেশের সীমান্তে ভারত কাদের ঠেলে দিচ্ছে?  ◈ এবার শেখ মুজিবের সেই ভাস্কর্য ভাঙল ছাত্র-জনতা (ভিডিও) ◈ অ‌নেক ক‌ষ্টে ম্যানইউকে হারা‌লো ‌চেল‌সি, আ‌রেক ম‌্যাচে অ‌্যাস্টন ভিলার জয় ◈ যে কারণে আজ খোলা সরকারি অফিস

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০১:৫১ রাত
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০১:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডারউইনের বিবর্তনবাদ কি বিশ্বাসযোগ্য? 

মুসা কলিম মুকুল

মুসা কলিম মুকুল: প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক মহলে সর্বজনীনভাবে গৃহীত। এই তত্ত্ব ছাড়া প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করা আধুনিক বিজ্ঞানের পক্ষে অসম্ভব। ডারউনের এই বিবর্তনবাদ সহ কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বই বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের বিষয় নয়। গবেষণার মাধ্যমে এই তত্ত্বকে বৈজ্ঞানিকভাবে অকার্যকর প্রমাণ করা যেতে পারে। তখনই বিজ্ঞানমহল একে বাতিল করতে পারবেন। প্রসঙ্গত প্রকৃতিকে ব্যাখ্যার কাজে এই তত্ত্ব এতটাই সঠিক ফল দেয় যে এটিকে লাইফ সায়েন্সের মেরুদণ্ড বলা যেতে পারে। এই তত্ত্ব ছাড়া আধুনিক বিজ্ঞান সম্পূর্ণ অচল। ধর্মগ্রন্থ: যেমন বাইবেল দিয়ে কি ডারউইনবাদকে নাকচ করা যায়?

হ্যাঁ। বাইবেলের আদম ও ইভ বিবর্তনবাদকে নাকচ করে। এই পদ্ধতিতে নাকচ করলে বিজ্ঞানশাস্ত্রই নাকচ হয়ে যায়। বাইবেল দিয়ে বিজ্ঞান নাকচ করে দেবার পর ইশকুলে বিজ্ঞানের আর কোনো স্থান থাকতে পারে না। সেক্ষেত্রে বিজ্ঞানের চর্চা উঠিয়ে দিয়ে ইশকুলে বাইবেলকে পঠ্য রাখতে হবে। বাইবেল আর বিজ্ঞান পাশাপাশি চলতে পারে কি? হ্যাঁ পারে। বাইবেলই খোদা, তাঁর পুত্র মসীহ, শয়তান, আদম, স্বর্গ, নরক ইত্যাদির বিশ্বাসের বৈধতা দিতে সক্ষম। বিজ্ঞান এখানে অকার্যকর। বিজ্ঞান কেবল প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে পারে। বিজ্ঞানে বিশ্বাসের কোনো স্থান নেই। বিজ্ঞান  বাইবেলের আদম ও ইভকে সংস্কারের জন্য জোরাজুরি  করে না। পাদ্রীরাও যদি বিজ্ঞানের তত্ত্বে হস্তক্ষেপ না করেন তাহলে বিজ্ঞান আর বাইবেলে সহাবস্থানে কোনো বাধা তো নেই। 

বাইবেল থাকতে বিজ্ঞানের চর্চার কি কোনো প্রয়োজন আছে? কোনো কোনো পাদ্রী কখনো কখনো বাইবেলের শিক্ষা ত্যাগ করে বিজ্ঞানের উপযোগিতার শরণ গ্রহণ করেন। যেমন, বাইবেলে বলছে, কালিজিরা সর্বরোগের আরোগ্য ঘটায়। পাদ্রীর পাকস্থলী নষ্ট হয়ে গেলে তখন তিনি কী করেন? সদা খোদার কথায় ইমান রেখে কালিজিরা খান? না। তিনি চলে যান ডারউইনবাদী সার্জনের কাছে। সার্জন তাঁর পাকস্থলীটা বদলে শুয়োরের পাকস্থলী বসিয়ে দেন। শুয়োর সবজি এবং মাংস দুটোই হজম করতে পারে, মানুষের মতন। সার্জনের ভাষায়- শুয়োর মানুষের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। ফলে শুয়োরের পাকস্থলী মানুষের পেটে চমৎকার খেটে যায়।

পাদ্রীরা ডারউইনের কথা মতন মানুষের জন্য নিষিদ্ধ এই প্রাণীর পাকস্থলীকে কবুল করেন, খোদার কথা মতন কালিজিরায় ইমান রাখতে পারেন না। যদি আমাশয় হতে ক্যান্সার পর্যন্ত সকল রোগের চিকিৎসার জন্য একমাত্র কালিজিরায় ভরসা রাখতেন পাদ্রীরা তাহলে বিজ্ঞানের আর দরকার হতো না। পাদ্রী সহ সকল মানুষই কমবেশি ঐশীগ্রন্থ পাশ কাটাতে চায়। প্রবল ধর্মান্ধও কাজের সময় বাইবেলকে এক পাশে রেখে বিজ্ঞানেই ভরসা রাখে। বিজ্ঞানের চাহিদাই মানুষের সমাজে বিজ্ঞানচর্চাকে টিকিয়ে রাখবে। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়