শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:২৪ রাত
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ০২:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘তুমি এতো ভালো কেন’!

সুমন্ত আসলাম

সুমন্ত আসলাম : বউ আমার কাছ থেকে সময় চেয়েছে ২ ঘণ্টা, আরও ৩০ মিনিট বেশি দিয়েছি তাকে। এরই মধ্যে ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট চলে গেছে। মার্কেটে এলেই পায়ে ব্যথা হয় আমার। কোনায় চুপচাপ বসে আছি তাই। বউ আর মেয়েটার শপিং শেষ হয়নি এখনো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দু’জন মিলে যা কিনেছে, আগামী ৪ বছরেও ব্যবহার করে শেষ করতে পারবে না তা। বিশাল শপিং সেন্টারের এপাশ থেকে ওপাশ দেখা যায় না।

একটু পর পর বউ ফুচকি দিয়ে মুচকি হেসে বলে, ‘সুমন্ত, আরও একটু রেস্ট নাও, পায়ে ব্যথা যেন বেড়ে না যায়।’ মুচকি হাসি আমিও।

সংসারে বউ-সন্তানের সুখই বড় সুখ। সেই সুখে ঘুম এসে যাচ্ছে আমার। কিন্তু দেশ ছেড়ে এই প্রবাসে এখানে বালিশ পাই কোথায়। 

আমাকে সামান্যতম পছন্দ করেন যারা, দ্রুত একটা বালিশ পাঠাবেন প্লিজ। ঘুমে ঢলে পড়ছি বারবার। বউ নবমবারের মতো ফুচকি দিয়ে বললো, ‘তুমি এতো ভালো কেন?’ এই যে এতো কিছু কিনছো, অথচ আমাকে কোনো পয়সা দিতে হচ্ছে না, এতে আমার খুব ভালো লাগছে। দোকান বিস্তৃত একটা হাসি দেই আমি, ‘সব টাকা তুমিই খরচ করছো।

আচ্ছা, তুমি এতো ভালো কেন?’ বউ বিশাল একটা হাসি ফেরৎ দিলো, ‘আমাকে আরও ১৫ মিনিট সময় দেবে?’ ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট বহিয়া যায়।

রোজ কেয়ামতের দিন আল্লাহপাককে বলবো, ‘হে আল্লাহ, ৭০টা হুর চাই না আমি। আমার বউকে শপিং করার শক্তি দিও, কেবল আমার বউয়ের জন্য বি-শা-ল এক শপিং সেন্টার বানিয়ে দিও বেহেশতের অন্যতম এক স্থানে।’ ফেসবুক থেকে 

এএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়