আতিকুজ্জামান ফিলিপ: পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় যে, তারা চেকিংয়ের নামে নিরীহ পথচারীর পকেটে বা সঙ্গে থাকা ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে সেটাই আবার তল্লাশি করে বের করে এনে সেই পথচারীর বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ তুলে তার কাছ থেকে তৎক্ষনাৎ জোরপূর্বক টাকা আদায়সহ যতরকম হয়রানি করা সম্ভব তার সবই করে থাকে। ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এ এমন একটি চমকপ্রদ খবর দেখলাম, যেখানে তিন পুলিশ কনস্টেবল একজন কলেজ ছাত্রের সঙ্গে থাকা ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ইয়াবা পাচারের অভিযোগ তুলে তার কাছে থাকা ষোলো হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু এবার বিধিবাম হলো। কারণ এবার তাদের টার্গেট ভুল ছিলো। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্র ছিলেন একজন পুলিশ পরিদর্শকেরই ছেলে। একেই বুঝি বলে ব্যুমেরাং।
যাইহোক, ভুক্তভোগী ওই যুবকের পুলিশ পরিদর্শক বাবার অভিযোগের বরাতে পুলিশ সদস্যদের এহেন অপকর্মের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পুলিশের উচ্চপর্যায়ে পৌছে এবং তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা করা হয়। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রের সৌভাগ্য যে সে একজন পুলিশের সন্তান আর এই শহরের অলিতে-গলিতে অহরহ ঘটে চলা একইরকম ঘটনার শিকার সাধারণ নিরীহ পথচারীর দুর্ভাগ্য হলো এই যে তারা কোনো পুলিশের সন্তান বা ভাগিনা বা ভাতিজা বা শ্যালক নন। ফেসবুক থেকে