পারভেজ আলম: মধ্যপ্রাচ্যের আমিরদের অন্যতম বাণিজ্য হইল এখন ফুটবল খেলা। কাতারের আমির ইউরোপিয় ক্লাবের মালিক। তার এই বাণিজ্যের সাথে বৈশ্বিক জুয়া খেলা ও সুদ ব্যবসা জড়াইয়া আছে ওতপ্রতভাবে। এই বিশ্বকাপের প্রতিটা খেলা কেন্দ্র কইরা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ কী পরিমান জুয়া খেলতাছে, সেইটা বাংলাদেশে থাইকা আপনার পক্ষে বোঝা কঠিন। কথা হইল যে, এইসব আমির বাদশা ছাড়াতো আবার আপনাদের অনেকের ইসলাম হয় না। আপনারা গণতন্ত্র চান না। আমিরের পা চাটন লাগে আপনাদের মুসলমান হওয়ার লাইগা। এবং এই আপনারাই দুনিয়ার সবকিছুকে হালাল, হারাম দিয়া বিবেচনা করতে চাইছেন। যারফলে সুদ ব্যবসাকে আপনাদের হালাল মানতে হইছে ইসলামী ব্যাঙ্কের আদলে। সামনে হালাল জুয়াও আপনাদের মানতে হইতে পারে। ঐদিকেই যাচ্ছে আপনাদের ইসলাম।
এই যে সবকিছুরে হালাল, হারামের বাক্সে ঢুকাইতে চাইছেন, এইটা হইল আপনাদের বিকার। আল্লার দুনিয়ায় হালাল ও হারামের বাইরে বিরাট একটা এলাকা আছে। আপনারা মুসলমানদেরকে সেই স্বাধীন এলাকায় থাকতে দিতে চান না। আপনাদের বমি উদ্রেককারী পবিত্রতা দিয়া সবার জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত আপনারা ভইরা দিতে চান। ফলাফল এই যে, আপনারা যা কিছুকে হারাম হারাম বলে চিললাইছেন, সবকিছুই এখন আস্তে আস্তে হালাল হিসাবে পালন করা হবে। কারণ আপনারাই চান নাই যে হালাল ও হারামের বাইরে মানুষের কোন জীবন থাকুক। আরেকদল ফ্যাসিস্ট আছে, এরা ইসলামী রাষ্ট্রের নামে ফ্যাসিবাদী রাজনীতি করে গেছেন বছরের পর বছর। এই ফ্যাসিস্টদের সাধারণ ডায়লগ হইলÑ ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। আই রিপিটÑ জীবন ব্যবস্থা। কোথায় পাইছেন কথাটা? কোরানে? না হাদিসে? কোন সে ব্যবস্থাপনাবীদ ফকিহ, যিনি এই কথা লিখছেন? ইসলাম একটা ‘পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা’, এই ব্যবস্থাপনাবাদী ডায়লগ আধুনিক যুগের আগে কবে কোন কিতাবে লেখা হইছিল? আসলে, এই যে পূর্ণাঙ্গ একটা জীবন ব্যবস্থা বা ডিসিপ্লিনের মধ্যে মানুষের জীবনকে গ্রেফতার করতে চাওয়া, এরই অপর নাম বায়োপলিটিক্স।
এইগুলা একধরণের রেসিজম। আপনারা ইসলামের নামে এতোদিন রেসিস্ট রাজনীতি করেছেন সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে। তার ফল এখন ভোগতো করতেই হবে। শোনেন মিয়া ভাইয়েরা, আগামীদিনে বিবাহ বহিভূত হালাল যৌন সম্পর্কও আপনাদের মানতে হবে। এবং এইটা আসলে আমি খারাপ কিছু মনে করি না। প্রেম, যৌন সম্পর্ক হইল মানবিক ও সুন্দর ব্যাপার। সুদ বা জুয়ার মতো খারাপ কিছু না। আর তাছাড়া আপনাদের মামুনুল হক তো আমাদের কাছে উদাহরণ হিসাবে হাজির। আপনারা মধ্যযুগীয় দাসী রাখার উসুল (ভরণ পোষণ) ব্যবহার কইরা উপস্ত্রী রাখাকে হালাল মনে করবেন। আর দুইটা আধুনিক (খাস), প্রাপ্তপবয়স্ক এবং উপার্জনকারী নারী পুরুষের প্রেমকে হারাম বলবেন, এই ভন্ডামি আর চলবে না ভাইয়েরা। আপনাদের মামুনুল হুজুরতো দাসী রাখার উসুলও ঠিকমতো মানে নাই, সম্পর্ক গোপন রেখেছে। অন্যদিকে আমরা প্রেম করলে বন্ধুদের এবং বাপ মাকে সাক্ষী রেখেই করি। আমাদের প্রেমগুলা তাই আপনাদের মামুনুল হুজুরের দাসীর রাখার চাইতে অনেক বেশি ইসলামসম্মত। যতো হারাম হারাম করবেন, ততো বেশি হালালের তত্ত্বও আসতে থাকবে সামনে। এতোদিন যা কর্ম করেছেন, তার ফল এখন ভোগ করতেই হবে। ফেসবুক থেকে