ব্রাত্য রাইসু: মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া তো নানান অখ্যাদ্য কুখাদ্য আপনার সামনে দিবেই। তা না খাইলেও আপনার নাম নিতেই হবে যে কী আপনি খাইতেছেন না। যেমন আপনারা খান এমন বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় খাবার আমি খাই না। ক্রিকেট এবং বাংলাদেশি সিনেমা তার দুইটা। এই দুই সালুনে কী কী সবজি আপনারা খান তা আপনাদের ব্যাপার। আমি এই সবজিগুলোরে চিনি না। তো মিডিয়া রান্ধা ও পরিবেশিত সেই কুখাদ্য যদি আমার ফেসবুক প্রতিবেশীরা যত্ন কইরা খায় তবে আরো বেশি জানান দিতে হবে আমি কী কী খাই না, বা কী কী চিনি না। ভাল-মন্দের প্রচারই কেবল চলবে তা হয় না। ব্যক্তি কী কী আপছন্দ করে তার প্রচারণাও চালাইতে হবে। এই যুক্তিতে যে ব্যক্তি কী কী পছন্দ করে কেবলই তার প্রচারণা রাজনৈতিক ভাবে সমস্যাজনক ব্যাপার।
২. ধরেন আপনি বেড়াইতে গেছেন আপনার খারাপ রুচির আত্মীয়ের বাড়িতে। আপনার নাক উঁচু, ওনারা সেইটা জানেন। আপনি রান্না ভালো না হইলে খান না, সেও তারা জানেন। আপনারে তাই তারা বেশি সাধে। আপনার পিলে চমকাইয়া দিতে তারা রানছে কুমড়ার বিরানি। হা হা, আপনারে দিছে কুমড়ার বিরানি খাইতে! আপনি বলছেন, আমি এইসব ফালতু কুমড়ার বিরানি খাই না। তো আত্মীয়েরা বলতেছে, হ্যায় তো ‘কুমড়ার বিরানি’ কইছে। কইছে মানেই খাইছে।
তো আত্মীয়েরা সবার কাছে বইলা বেড়াইতে শুরু করলে হ্যায় তো জানে আমাগো কুমড়ার বিরানি কেমন। হ্যায় কুমড়ার বিরানি চিনে। হ্যায় শের্ন ওযার্নরেও চিনে। চিন্নাও না চিনার ভান করে, হ্যায় ভণ্ড। তো আমি শাকিব, বুবলি, অপু, চেরী, শচীন টেন্ডুলকার, শের্ন ওয়ার্ন নানাজনরে চিনি না। হেগো নাম কইছি মানেই চিনছি তা না। আমি মিডিয়ার খাবার খাই না? তাই আমার চিনার দরকার হয় না। বিপরীতে আপনারা মিডিয়া যা দেয় তাই খান। যা চিনায় তাই চিনেন। যেহেতু আপনাদের ভক্ষণ কালীন গপ গপ শুনতে হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাই বেশি কইরা বলা, কী কী আমি চিনি না। আপনারা চিনেন ভালো কথা। ফেসবুক থেকে