মুশফিক ওয়াদুদ: মাঝে মাঝেই বিএনপি এবং জামায়াতের নেতা, কর্মী, সমর্থক এবং বুদ্ধিজীবী এবং সরকারের সমালোচকদের প্রথম আলো/ডেইলী স্টার বিরোধী ক্যাম্পেইন দেখি। এর পেছনে কি উদ্দ্যেশ্য সেটা আমি ঠিক বুঝতে পারি না। প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার বিরোধী এ ন্যারেটিভ দল দুটির কোনো উপকার করে না। প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার ভালো কি খারাপ, ভালো সাংবাদিকতা করে কি করে না সেটা অন্য আলাপ। কিন্তু কৌশলগত দিক দিয়ে প্রথম আলো/ডইলি স্টার বিরোধী ন্যারেটিভ দিয়ে দল দুটির কোনো অর্জন এ মুহূর্তে সম্ভব না। ধরেন, এর নেতা কর্মী আর বুদ্ধিজীবীরা এই দুটি পত্রিকার কর্তৃত্বের অবসান চান এই ন্যারেটিভ দিয়ে। সেটা কি সম্ভব? আমি মনে করি এমন কি বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও এ দুটি পত্রিকার কর্তৃত্বের অবসান খুব সহজ না। অন্তত আগামী ১০ বছর এ দুটি পত্রিকার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী আমি দেখি না।
দ্বিতীয় একটি লক্ষ্য হতে পারে, চাপ তৈরি করে এ দুটি পত্রিকাকে আরো সরকারবিরোধী বানাইতে চাওয়া। কিন্তু এইটাও আসলে অসম্ভব। এঁরা এঁদের নিজস্ব এজেন্ডা অনুযায়ী চলে। যখন নিজেদের দরকার হবে তখন কোনো চাপ ছাড়াই সরকার বিরোধী হবে। বিরোধী দলের প্রায় সব ন্যারেটিভই এই দুটি পত্রিকার তৈরি করা। স্যোশাল মিডিয়ায় বিরোধী দলের বেশিরভাগ নেতা র্কী দের বেশিরভাগ আলোচনা আসলে প্রথম আলোর সংবাদকে ঘিরেই। কৌশলগতভাবে বিএনপির এটি ভুল একটি পলিসি। এখনও ট্রাডিশনাল মিডিয়াই এজেন্ডা তৈরি করে। ট্রাডিশনাল মিডিয়ার কাজ স্যোসাল মিডিয়ার পক্ষে সম্ভব না। দুটি প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমকে শত্রু বানিয়ে বিএনপির ক্ষতি ছাড়া উপকার হচ্ছে না বলেই আমার মনে হয়। লেখক ও গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :