শিরোনাম
◈ বিএনপি থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে যা বললেন মনির খান ◈ মালয়েশিয়া হাসপাতালের নার্সকে যৌন হেনস্তা, বাংলাদেশি অভিযুক্ত ◈ স্যার ও ম্যাডাম সম্বোধন বাংলাদেশে কীভাবে প্রচলিত হলো ◈ অলিম্পিক গেমসের সূ‌চি প্রকাশ, আসর শুরুর দুদিন আগে মাঠে গড়াবে ক্রিকেট ◈ রাজনী‌তি‌তে বিএন‌পি অ‌নেকটা কোনঠাসা, প্রশ্নের মু‌খে তা‌রেক রহমান  ◈ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনায় আশাবাদী বিশ্ব ব্যাংক: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে জোহানেস জুট ◈ বিপিএলকে বদলে দিতে তামিম ও মুশফিকের পরামর্শ নিলো বিসিবি  ◈ মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার ◈ একদিনে ৭৮ প্রাণ, ৮০০’র বেশি নিহত ত্রাণ কেন্দ্রে, ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ◈ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ১২:৪৮ রাত
আপডেট : ১৭ মে, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকার বিনিময়ে সুবিধা দেওয়া এবং সুবিধা কেনা

কাজী এম. মুর্শেদ

কাজী এম. মুর্শেদ: পাবলিক সার্ভিস কমিশনে প্রশ্ন ফাঁস করে আবেদ আলী সাহেব বলেছেন, যা আয় করেছেন সব আল্লাহর পথে খরচ করেছেন। এতো অলি টাইপের মানুষ, যিনি আল্লাহর পথ খুঁজে পেয়েছেন। কুয়াকাটায় সাগরে গেছেন, বিমানে আকাশ ঘুরেছেন, অবশেষে আল্লাহর পথে যে খরচ করেছেন তাহলো নিজের ছেলেকে সরকারি ছাত্র সংগঠনে পদ পাওয়া, উপজেলা নির্বাচনে দাঁড়ানো, থ্রি-স্টার হোটেল করেছেন। এই হোটেলে যদি গরিব-দুঃখী মানুষকে বিনা পয়সায় থাকতে দেন, কিছু কাজ হবে। আজকাল যা অবস্থা, হয়তো এই থ্রি-স্টার হোটেল লিটনের ফ্লাটের মতো ঘণ্টা হিসেবে ভাড়া দেন। 

এ ধরনের দুর্নীতিতে দুইপক্ষ থাকে, একদল টাকার বিনিময়ে সুবিধা দেন, অন্যপক্ষ সুবিধা কিনে নেন। এই যে প্রশ্ন বিক্রেতা এদের ১৭ বা আরো কিছু ধরেও আপনি কতোটা দুর্নীতি আটকালেন-যারা টাকা দিয়ে প্রশ্ন কিনে এখন চাকরি করছে, তাদের নিয়োগ কীভাবে বাতিল করবেন? তারা হয়তো সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব বা উপ সচিব পদে বসে আছে, এদের নিয়ে কী করবেন? যেই টাকা বেতন বাবদ পেয়েছেন, সেটা কীভাবে উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেবেন? 
এ পর্যন্ত তিনবার কোটা আন্দোলনের সামনে পরলাম। ছেলেগুলোর সাথে কথা বললাম, এরা যথেষ্ট ক্লান্ত হলেও ভদ্র। কথাগুলো গুছিয়ে বলে। আমার মনে হয়েছে এরা যা বলছে তা ন্যায্য। কোনো মেয়ে সামনে পরেনি, হয়তো কথা বলতাম। তবে একটি ব্যাপার মনে পরলো, আগে যখন ঢাকা শহরে হরতাল দেখেছি, তখন একদল বের হতো ছিনতাই করতে। ছাত্র জনতা পিকেটিংয়ে ব্যস্ত থাকতো, অন্যদিকে একদল বের হতো রিকশা যাত্রী বয়েসী মানুষদের ঘড়ি, মানিব্যাগ, আংটি ছিনতাই করতে। এই কোটা আন্দোলনে এমন কাউকে যদি পান যারা মারধর করছে বা গালাগাল করে চড়াও হচ্ছে, বুঝে নেবেন সেই দলের বংশধর আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমে গেছে। 

কয়দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা প্রত্যয় পেনশন স্কিম নিয়ে নেমেছিলো, তাদের কোনো খবর নেই। উনারা কি ম্যানেজ হয়ে গেছে? উনারা আগে থেকেই ম্যানেজড ছিলো, একটু জানান দিলো যে আমরা আছি, আমরা মরি নাই, একটু খেয়াল রাখবেন। এই শিক্ষকদের শুরু থেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিবিএ মনে হচ্ছিলো, নিজেরা সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে লেনদেন করতে আম দুধ-ভাত খাবে আর সহযাত্রী যারা তাদের নেতা বানিয়েছিলো, তারা খালি আটি নিয়ে বসে থাকবে। লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়