দেবদুলাল মুন্না: আগে , বেশি না আশি/নব্বইয়ের দশকেও অগ্রসর পাঠক-মানুষ বলতেন , উনি ভালো বুদ্ধিজীবী , অমুক তেমন বুদ্ধিজীবী না এরকম। মানে বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতিটা দিতো অন্যরা। বুদ্ধিজীবীরা কখনোই নিজেদের সেটা দাবি করতেন না। যুগ পাল্টাইছে। এখন নিজেরাই নিজেদের ‘বুদ্ধিজীবী’ দাবি করছেন। ফেসবুকে এমন অনেক। কেউ কেউ নিজের পরিচয়ও দেন গণবুদ্ধিজীবী বা পাবলিক বুদ্ধিজীবী। সাহস না নির্লজ্জতা বুঝি না। একজন বললো, এটা মার্কেটিং পলিসি। ভাইরাল কালচারের প্রভাব। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেও বাংলা সিনেমার জায়েদ খানেরা জায়গা চাইতেছেন। আমি নিশ্চিত নই। তবে এটা নিশ্চিত, প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণের কথাটা বাজে। আরও বাজে হইতেছে, নিজেকে জাহির করা অহেতুক। আত্মজ্ঞানের অভাব আর রহস্যাবরণ ও নিরাপত্তার জন্য প্রতিভাহীনেরা প্রোপগান্ডার জন্ম দেন , যা বেশি খুব অল্পস্থায়ী। দেখা গেলো , এক ফেসবুক আইডিধারীর মৃত্যু হইল তো ওই বুদ্ধিজীবীও মারা গেলেন। লেখক: সাংবাদিক