ইকবাল আনোয়ার: মিল্টন সমাদ্দার নিয়ে কিছু বলা যায় না। বিচারাধীন। আমি চিকিৎসক। এ বিদ্যার ছাত্র। তাই কিছু বিজ্ঞানসম্মত ধারণা ব্যক্ত করতে পারি। কিডনি বেচা, অঙ্গ বেচা। এসব করা যায় না। এটা সহজ নয়। ওয়ান ইলেভেনের সময়, আমাদের কুমিল্লার এক ডাক্তার, পেশায় অর্থ সার্জন, আমার বিবেচনায় এমন ভালো মানুষ হওয়া সত্যই আমার পক্ষে সম্ভব না। তার বাসার কাজের মেয়ে, সংক্ষেপে বলি, মেনিনজাইটিস হয়েছিলো, যখন খিঁচুনি হয়, বুঝা গেলো, তার পরিবারকে ডাকা হলো, মুরাদনগরে, তাদের বলা হলো, চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিতে হবে, বাসার কর্তা চিকিৎসা করাবেন। বাবা রাজি না। যেহেতু খিঁচুনি। তাই বুঝা গেলো জিনের আছর। নিয়ে গেলেন। দুঃখজনক কথা, মেয়েটি মারা গেলো অপচিকিৎসায়। পরে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা, মেয়েটির কিডনি কেটে রাখা হয়েছে, ফলে এ মৃত্যু। সাংবাদিক, পুলিশ আসতে থাকে দেদার। মিথ্যার বেসাতি। ডাক্তার সাহেবের ঘুম হারাম। আমি আইনজীবীর কাছে যাই, বলি এ কথা সর্বতভাবে মিথ্যা। কারণ কিডনি ট্রান্সফার করাতে রোগী এবং যে কিডনি দান করে, দুজনকে টেবিলে থাকতে হয়। তিনি বললেন, না, মামলা যখন হয়েছে, এটা কোর্টে প্রমাণ করতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক
আপনার মতামত লিখুন :