ইকবাল আনোয়ার: লোকটির পাতলা পায়খানা, পেট ব্যাথা, পেট ফাঁপা, বমি। সুচনা হয়েছে চোখে ঝাপসা দেখা, অস্থিসন্ধি সহ সারা দেহে ব্যাথা, জড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া থেকে। এটি একটি খাদ্য বাহিত রোগ। ব্যথায় সে কাতরাচ্ছে। বারবার টয়লেট যাচ্ছে, পেট মোচড় দিচ্ছে। অসুখ তিন দিনের। বন্ধু বললো, ভাবো তোমার অন্ত্রে ক্যান্সার হয়েছে, তাহলে তোমাকে দিনের পর দিন এর চাইতেও অসহনীয় অবস্থা ভোগ করতে হতো।
আমার ক্যান্সার তো হয়নি। এমন ভাববো কেন? আচ্ছা না হয় ভাবলাম। তোমার কি এখন কিছু ভালো লাগছে না? উপসম হচ্ছে না? তা হবে কেন। মোটেই তা হচ্ছে না। ক্যান্সার রোগীটির কথা চিন্তা করে, তোমার কি মোটেও ভালো বোধ হচ্ছে না? না। সর্বোচ্চ আমি ক্যান্সার রোগীটির জন্য সহানুভূতি জানাতে পারি এবং জানাচ্ছি। এ পর্যন্তই। তুমি তো মানবিক হতে পারলে না। একজন জুতা ছাড়া মানুষ যখন দেখলো ল্যাংড়া এক ব্যক্তি মসজিদে যাচ্ছে, তখন তার আর কোনো আক্ষেপই ছিলো না। এ সব বলতে ভালো, শুনতে ভালো। আর এসব নীতিকথা বলেন তারাই, যারা বাস্তবে দুর্দশাজনক পরিস্থিতিতে পরেনি। এ জগতে একটি আরেকটির বিকল্প নয়। প্রতিটিই এক একটি ‘ইউনিক’ ঘটনা। লেখক: চিকিৎসক