শিরোনাম
◈ দেশে নিবন্ধিত কোচিং সেন্টার ৬,৫৮৭, অনিয়ন্ত্রিত আরো বহু; নীতিমালা শূন্যতায় বাড়ছে বাণিজ্যিকীকরণ ◈ অনলাইন জুয়ার অর্থ লেনদেনে দুই অভিনেত্রী গোয়েন্দা নজরে ◈ রাবি হল সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৯ প্রার্থী ◈ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে যেভাবে ধরা পড়ল ৫০ প্রতারক! (ভিডিও) ◈ জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নাম‌ছে, কিন্তু কেন ◈ ভ্যালেন্সিয়ার জা‌লে বার্সেলোনার ৬ গোল ◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা ◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:১৪ রাত
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৩:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাষ্ট্রের মানুষ ও রাষ্ট্রযন্ত্র মানবিক হোক

রাশেদা রওনক খান

রাশেদা রওনক খান: বাচ্চাদের স্কুল-কলেজ বন্ধ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসে চলে গেলো। করোনার সময় যেহেতু পারা গেছে, এখনো অনেক অফিস চাইলে ‘হোম অফিস’ শুরু করতে পারে। এরকম অসহনীয় পর্যায়ের গরম থাকলে হয়তো অনেক অফিসে মানবিকতার জায়গা থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে, আশা করতেই পারি। কিন্তু আমি ভাবছি তাদের কথা, যারা রাস্তায় বের না হলে পেটে ভাত জুটবে না, তাদের প্রতি আমরা একটু মানবিক হতে পারি কিনা। ভ্যানচালক, রিক্সাচালক, হকার-সহ অনেক ইনফরমাল ব্যবসায় জড়িত,  ট্রান্সপোর্ট শ্রমিক, বিভিন্ন কারখানা ও গার্মেন্টস শ্রমিক- যারা পায়ে হেঁটে এই অসহনীয় গরমের মাঝে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন-আসছেন, তাদের প্রতি? অথবা চাকরির প্রয়োজনে রাস্তায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের প্রতি, যারা তপ্ত রৌদ্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে তার  ডিউটি পালন করছেন, তাদের প্রতি?

গাছ কেটে কেটে ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা কর্পোরেট বিল্ডিং, গ্লাস হাউজ, রেস্টুরেন্ট সহ নানা বিল্ডিং এর খালি জায়গাটুকুতে এই খেটে খাওয়া রাস্তার মানুষগুলোকে একটু বিশ্রাম নিতে সুযোগ দিন, সিকিউরিটি গার্ড দিয়ে তাদের গা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবেন না। কারণ এই শহরে তাদের শরীর খারাপ লাগলে  গাছের ছায়া নাই যেখানে তারা বসে একটু পানি খাবেন স্বস্তিতে। রাস্তার দুইপাশের গাছ কাটার দায় যেমন মেয়রদের নিতে হবে, তেমনি শহর জুড়ে গাছ কেটে এই সকল সুউচ্চ বাড়ি বানানোর দায় তো আমাদেরও নিতে হবে। 

রাস্তায় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে বসে কিংবা কর্পোরেট বিল্ডিংয়ের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে আমরা হয়তো তাদের কষ্টগুলো দেখতে পাই, কিন্তু আমরা কয়জন তাদের জায়গা হতে অনুভব করতে পারি? সিমপ্যাথি ও এম্প্যাথিÑ দুটো ভিন্ন বিষয়। প্রথম অনুভূতিটি অনেকের থাকলেও দুটোই থাকা মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুব কম, অতি নগন্য তারা সংখ্যায়। আর নগণ্য দিয়ে তো পৃথিবী টিকে থাকতে পারে না, সে কারণেই পৃথিবীর জলবায়ুর আজ এই অবস্থা। রাষ্ট্রের মানুষের দুটো না থাকলে আমরা রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকে দুটোই পাবোÑ এই আশাইবা করি কীভাবে। ২১-৪-২৪। ফেসবুক থেকে 

 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়