শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২৪, ০১:৪৮ রাত
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২৪, ০১:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কয়েকদিন পরেই বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ফাইল হিমঘরে চলে যাবে 

মনজুরুল হক

মনজুরুল হক: কয়েকদিন পরেই বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ফাইল হিমঘরে চলে যাবে। তার আগে দুটো কথা বলে রাখি, এদেশে যেকোনো দুর্ঘটনা-বিপর্যয় পরবর্তী সরকারি সাফাই আগুন লাগার পর বলা হবে-ভবনের অনুমোদন ছিলো না। লঞ্চডুবির পর বলা হবে-ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না, অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। সড়ক দুর্ঘটনার পর বলা হবে-ফিটনেস ছিল না, চালকের লাইসেন্স ছিল না। গার্মেন্টস কারখানায় আগুন লাগার পর বলা হবে-ফায়ারস্কেপ সিঁড়ি ছিল না, মেইন গেটে তালা ছিল। ভুল চিকিৎসায় রোগী মরার পর বলা হবে-হাসপাতালটির অনুমোদন ছিল না...। কিন্তু কখনোই বলা হবে না-এসব দেখার জন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পোষা গাইড পাস মূর্খ অপদার্থরা টাকা খেয়ে এইসকল অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতে দিয়েছে এবং শতশত মানুষের অপমৃত্যুর কারণ আসলে এরাই।

দুই. হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে গেলে কমপক্ষে বার-চৌদ্দটি সংস্থার অনুমোদন বা সার্টিফিকেট লাগে। এসব যদি কেউ বৈধ উপায়ে যোগাড় করতে চায়, সে আর ব্যবসা শুরু করতে পারবে না। গাইড পাস মূর্খ অপদার্থ কর্মকর্তারা এমন সব জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি সিস্টেম তৈরি করে রেখেছে যাতে কেউ যেন বৈধ উপায়ে অনুমোদন না পায়। তখন কী করতে হবে? সেটা তারাই বলে দেবে। লাখ লাখ টাকা ঢেলে ব্যবসা চালু করতে এবং চালু রাখতে হবে এবং নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে যেতে হবে। এই অপদার্থ কর্মকর্তাবহর ফায়ার ব্রিগেড, পরিবেশ অধিপ্তর, শ্রম অধিদপ্তর, রাজউক, ওয়াসা, ডেসকো, তিতাস, সিটি কর্পোরেশন থেকে শুরু করে সর্বত্র নির্বিঘ্নে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই টাকার কাফফারা দিচ্ছে ভোক্তাগণ। ৬০ টাকা বার্গার খাচ্ছে ২৫০ টাকা দিয়ে এবং কিছুদিন পর পর আগুনে পুড়ে মরছে।

তিন. এখন করণীয় কী? কিছুই না। কারণ সর্ষেতেই ভূত। সিআইডি, দুদক ওইসকল কর্মকর্তাদের ধরতে গেলে তারা বলবে, ‘আয়নায় নিজেদের দেখে আসেন’। এবার তাদের ধরতে গেলে তারাও বলবে, ‘আমরা কি বানে ভেসে এসেছি? রীতিমতো লাখ লাখ খচ্চা করেই এই পোস্ট পেয়েছি’। তাদেরও ‘উপর’ আছে। সেখানে যাবেন? যেতে পারবেন? যদি পারেনও প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবেন না। সুতরাং সরকারের বাগাড়ম্বর,  ‘কানাডা-সিঙ্গাপুর’ হয়ে যাওয়া এই রাজধানী নামক মৃতনগরীতে মাঝে মাঝেই এ ধরনের প্রাণঘাতি দুর্ঘটনা, বিপর্যয়, ডিজাস্টার ঘটবে। আপনার-আমার নিকটজন মরবে। আপনি-আমিও মরব। আমাদের আত্মিয়স্বজনরাও এরকম পোস্ট লিখবে। লিখতে লিখতে কম্পিউটার ক্র্যাশ করবে, কিন্তু এসব প্রিপ্ল্যান্ড সিস্টেম বদলাবে না। ২ মার্চ ২০২৪। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়