আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এমন আগ্রহের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি।
[৩] জবাবে মন্ত্রী সুইজারল্যান্ডের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ডের মাঝে এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হবে। এরপর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
[৪] ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করার জন্য কাজ করছে সরকার।
[৫] হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ ও নতুন টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সকল বিমানবন্দরের এভিয়েশন অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল চালু হওয়ার পর আকাশপথের বিদ্যমান যাত্রী সংখ্যা ও কার্গোর পরিমাণ কয়েক বছরের মধ্যেই দ্বিগুণ হবে।
[৬] বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। চলতি বছরেই তার বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়াও বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরো বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে সুইজারল্যান্ড বিনিয়োগ করলে সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে সরকার।
[৭] এসময় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ টিমের সাথে কাজ করাটা ছিল আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টিম নেগোসিয়েশনে প্রশংসনীয় দক্ষতা দেখিয়েছে। তাদের দক্ষতা ও সহযোগিতার জন্য সুইজারল্যান্ডের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
[৮] রেতো রেংগলি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। আশা করছি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ চলছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবো এবং বিনিয়োগের জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যাতে বাংলাদেশ সফর করে সেই উদ্যোগ নেব। এছাড়াও পর্যটনের উন্নয়নের জন্য যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে তা আমরা বিনিয়োগকারীদের জানাবো। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এটি/কে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :