আমিনুল ইসলাম: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী খালিদ বটল নাজিমের সাথে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, ইরাকের পরিকল্পনা উপমন্ত্রী আহমেদ আব্দুল জব্বার আলী আল করিম, বাংলাদেশে ইরাক দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফেয়ার্স এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিদ্যমান। কর অবকাশ সুবিধা, বিভিন্ন খাতে হ্রাসকৃত কর, রফতানি প্রণোদনা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ইরাকের বিনিয়োগকারীরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। একইভাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত গার্মেন্টস্ পণ্য, পাটজাতপণ্য, চামড়াজাত দ্রব্যাদি এবং ওষুধ আমদানি করে ইরাক লাভবান হতে পারে।
এসময় ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী খালিদ বটল নাজিম বলেন, বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চামড়া, বস্ত্র ও ওষুধখাতে একযোগে কাজ করতে চাই।
বৈঠকে ইরাকে বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণ, অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধকরণ এবং বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নেয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
ইরাকের শিল্প ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ৪ দিনের সফরে গত ৩০ মে বাংলাদেশে পৌছান। আগামী ২ জুন পর্যন্ত তিনি সাভারের ট্যানারী পল্লী, টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কারখানাসহ বেশ কিছু স্থাপনা পরিদর্শন করবেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এআই/এসএ