আনিস তপন: বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ' ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এ- টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু গ্রন্থিত ‘স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, প্রথমত তিনটি শিল্প বিপ্লব থেকে আমরা বহু বছর পিছিয়ে ছিলাম কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণা থেকে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, রবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এগুলোর সাথে অত্যন্ত ঠিক সময়ে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি এবং ঠিক এ জন্যই আমরা ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান দিয়েছিলাম।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুবিধার উদাহরণ তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর যখন সমগ্র পৃথিবীর জনজীবন থমকে গিয়েছিলো, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গিয়েছিলো, তখন বাংলাদেশ থমকে যায়নি, সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ সবকিছু চালু ছিলো।
তিনি বলেন, সেই কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ধ্বনাত্মক জিডিপি অর্জনকারী মাত্র ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। সেই অর্থবছরেই আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি। নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপে করোনা মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশ্বে আমরা পঞ্চম, উপমহাদেশে প্রথম। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এবং প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের কাছেও ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছার ফলেই এগুলো সম্ভবপর হয়েছে।
হাছান মাহমুদ এ সময় গ্রন্থকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সরকার পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যে নতুন ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই সেটি হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট ব্যবসা দরকার। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
টিএ/এসএ