শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত, সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন ◈ সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক করল আইএসপিআর ◈ জাতির প্রকৃত শক্তি শুধু সম্পদের মধ্যেই নয়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন শিগগিরই: ট্রাম্প ◈ জুলাই বিপ্লবের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পাইনি — উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ (ভিডিও) ◈ ক্ষুদ্র ইন্টারনেট অপারেটরদের বাজার থেকে হটাতে ডিডস আক্রমণ চলছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ◈ হিন্দুদের কারো কারো ‘জামায়াতে যোগ দেওয়ার’ কারণ কী, তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আছে? ◈ বাংলা‌দেশ‌কে হা‌রি‌য়ে সি‌রি‌জে ২-১ এ এ‌গি‌য়ে গে‌লো আফগা‌নিস্তান ◈ নো হাংকি পাংকি’? এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ◈ গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে, ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৩, ০৮:৫২ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৩, ১২:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ জন্মবার্ষিকী

প্রতীকী ছবি

সনতচক্রবর্ত্তী, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ১১ জ্যৈষ্ঠ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মদিন।

কবি নজরুল ছিলেন নিপীড়িত মানবতার। সারা জীবন তিনি সমাজের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কলম তুলেছেন। তিনি নির্ভীক চিত্তে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে তার ক্ষুরধার রচনা অব্যাহত রেখেছেন। থেকেছেন আপসহীন। নির্যাতনেও বিচ্যুত হননি লালিত আদর্শ থেকে। অন্যদিকে তিনি মানুষের হৃদয়ের কোমল অনুভূতির সাড়া দিয়েছেন। অজস্র গানে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার সংগীত ভুবন। প্রবর্তন করেছিলেন বাংলা গজল।

তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্য-সংগীত তথ্য সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় কাজী নজরুলের লেখনী ধূমকেতুর মতো আঘাত করে জাগিয়ে তুলেছিল ভারতবাসীকে। বিদ্রোহী কবিতে পরিণত হয়েছেন তিনি।

এছাড়া দুখু মিয়া নামেও পরিচিত এ কবি। সাম্রাজ্যবাদ, ফ্যাসিবাদ, নিপীড়ন, অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে অগ্নিকণ্ঠে সোচ্চার হয়ে লিখে গেছেন অসংখ্য গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও গান। 
তিনি ছিলেন চির প্রেমের কবি। প্রেম নিয়েছিলেন এবং দিয়েছিলেন। তিনি বিদ্রোহী কবি হলেও প্রেমিক রূপ ছিল প্রবাদপ্রতিম। এ কারণেই অনায়াসে এ কবি বলে গেছেন, আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়। 

এছাড়াও একাধারে তিনি কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, শিশু সাহিত্যিক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, স্বরলিপিকার, গীতিনাট্যকার, গীতালেখ্য রচয়িতা, চলচ্চিত্র কাহিনীকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক, বাদক, সঙ্গীতজ্ঞ ও অভিনেতা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখে গেছেন ২২টি কাব্যগ্রন্থ, সাড়ে ৩ হাজার, মতান্তরে ৭ হাজার গানসহ ১৪টি সংগীত গ্রন্থ, ৩টি কাব্যানুবাদ ও ৩টি উপন্যাস গ্রন্থ, ৩টি নাটক, ৩টি গল্পগ্রন্থ, ৫টি প্রবন্ধ, ২টি কিশোর নাটিকা, ২টি কিশোর কাব্য, ৭টি চলচ্চিত্র কাহিনীসহ অসংখ্য কালজয়ী রচনা।
উল্লেখ, ১৯৪১ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা চলে লুম্বিনী পার্ক ও রাচি মেন্টাল হাসপাতালে। পরে ১৯৫৩ সালে ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে চিকিৎসা নিতে যান তিনি। এ সময়ে একেবারেই বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় নীরবে-নিভৃতেই কাটে তার জীবন।

১৯৭২ সালের ২৪ মে জন্মদিনে ঢাকায় এনে তাকে জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কবির ‘চল্ চল্ চল্- ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’কে সামরিক সংগীত হিসেবে নির্বাচিত করে সম্মানিতও করেন।

১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। সম্পাদনা: ইমরান শেখ

প্রতিনিধি/আইএস২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়