খাদিজা আক্তার: জনস্বার্থে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। কোরবানির সময়সহ সারা বছর হাটে পশু কেনার পর ক্রেতা বা বিক্রেতার কাছ থেকে হাসিল নেওয়ার নামে হাট ইজারাদারদের অর্থ আদায় বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করা হয়।
অ্যাডভোকেট ইউনুছের উদ্ধৃতি দিয়ে বাংলা ট্রিবিউন ডট কম জানায়, বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটটির শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, পশুর হাটে হাসিল আদায় করার কারণে পশুর দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া মাংসের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ এই হাসিল আদায়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পশুর হাটগুলো পরিচালিত হতে হবে। পশুর হাটের যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। তাহলে পশুর দামও কমে যাবে এবং কম দামে মানুষ মাংস কিনতে পারবে।
আবেদনের বিবৃতি দিয়ে ঢাকা মেইল ডট কম আরও জানায়, এই সময়ে কোনো লোক অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করানোও সম্ভব হয়ে উঠে না। পাশাপাশি কোনো লোক মারা গেলেও তার লাশ বহন করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এছাড়াও গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে আবাসিক এলাকাটির বসবাসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই সঙ্গে গরু-ছাগলের নানাবিধ বর্জ্যে এলাকাটির পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হয়।
অ্যাডভোকেট ইউনুছকে ঢাকা পোস্ট ডট কমকে বলেন, পশুর হাটে হাসিল আদায় করার কারণে পশুর দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া মাংসের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এই হাসিল আদায়।
এক প্রশ্নের জবাবে এ আইনজীবী বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় পশুর হাটগুলো পরিচালিত হতে হবে। পশুর হাটের যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
কেএ/এসএইচবি/এএ