সঞ্চয় বিশ্বাস: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল সেই ‘কালরাত’ স্মরণ করল দেশ। শনিবার (২৫ মার্চ) রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবসে ২৫ মার্চ (শনিবার) রাত ১০টা ৩০ থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী এই কর্মসূচি পালিত হয়। কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো এর আওতামুক্ত ছিল।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। সেই নৃশংস গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে দেশব্যাপী এক মিনিট প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালনের কর্মসূচি নেয় সরকার।
সরকারি এ কর্মসূচি মেনে বিদ্যুৎ বিভাগ সারা দেশে এক মিনিট ‘ব্ল্যাক আউট’ করে (বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে)। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগেও রাত সাড়ে ১০টায় এই ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি পালন করা হয়। নিভিয়ে ফেলা হয় বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও সড়কের সব বাতি।
২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন লিখেছেন, ‘ওই রাতে ৭ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়। এ সময় গ্রেফতার হন আরও তিন হাজার।’ পাকিস্তানি হানাদারদের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাঙালিরা। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই জাতির স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর মুক্তিকামী জনতার মধ্যে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। অন্যদিকে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিধনযজ্ঞের প্রস্তুতি নেয়।