মনজুর এ আজিজ: খাদ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, বাইরের দেশেও বাংলাদেশের খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারায় আমরা রপ্তানি খাতে পিছিয়ে আছি। শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা মান ও প্রবিধানের সমন্বয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ কারণে নিরাপদ খাদ্য আইন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আমরা রপ্তানির বহুমুখীকরণ করতে চাই। খাদ্য রপ্তানিতে যথেষ্ঠ সম্ভাবনাও আছে। খাদ্যের মান উন্নয়ন ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হলে এই খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খাদ্যের বাজারে প্রবেশ করা যাবে। আমরা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সম্বন্বিত পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, যখন নিয়ম নীতি কার্যকর হবে তখন দেশের মানুষের ফুড চেইনেও নিরাপদ খাদ্য ঢুকে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা বাংলাদেশের মানুষের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছি। তবে একটি সংগঠনের পক্ষে ১৭০ মিলিয়ন মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা খুবই কঠিন কাজ। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য আরও আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে। এফএও-এর সহায়তায়, বাংলাদেশ এখন কোডেক্সের মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্য করার পথে রয়েছে এবং এটি করার মাধ্যমে দেশ নিজেকে মানসম্পন্ন, নিরাপদ খাদ্যের একটি বিশ্বস্ত সরবরাহকারী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার ভিত্তি স্থাপন করছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের মূখপাত্র মাউরিজিও সিয়ান, এফএও আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় দাভে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম, মনজুর মোর্শেদ, প্রফেসর . আব্দুল আলিমসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা।