মাজহার মিচেল: গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে শনিবার অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক এই তথ্য জানান।
তবে বিষয়টি সহজ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন ঐসময় অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি জানান।
মন্ত্রী মোজাম্মেল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক দেশ বাংলাদেশের পক্ষে না থাকলেও বিশ্বের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল। সেকারণে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি।’
লিবিয়া, ইরাক বা আফগানিস্তান বা অন্য কোনও দেশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নীতি বাস্তবায়ন করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ন্যয়ের পক্ষে ছিলাম। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যায়িত করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু দুরদর্শী বঙ্গবন্ধু সেই ফাঁদে পা দেননি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ মোড়লরাই রোহিঙ্গাদের গণহত্যার স্বীকৃতি দিল। আমরা ধন্যবাদ জানাই এই স্বীকৃতির জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের স্বীকৃতি নাই। তারা দেয় না। কারণ এটি সবাই বোঝে যে তাদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার কারণে তারা স্বীকৃতি দেয় না।’
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মী প্যাট্রিক বার্জেস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন দেশের গণহত্যা সম্পর্কে জানি। কিন্তু বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে সে ধরনের আলোচনা হয়না।
উদাহরণ হিসাবে তিনি জানান, ইস্ট তিমুরে মাত্র সাড়ে ছয় লাখ লোকের বাস এবং সেখানে গণহত্যা হযেছে সেটি পুরো পৃথিবী জানে। কিন্তু বাংলাদেশে ৩০ লাখ মারা যাওয়ার পরেও সে সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা নেই।