আনিস তপন: এ সময় রমজানে দেশে পণ্যের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরেও যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদেরকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ আসলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়।
শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা পবিত্র রমজান মাসে বিএনপির নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একথা বলেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশে রমজানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমদানি নির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদননির্ভর পণ্যসহ সমস্ত পণ্যের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুদ থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে বিশ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য চাল, গম এবং ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য রমযানের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুদ রয়েছে।
এরপরেও কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদাররা এই রমযানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মুল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি যারা করবে তারা আসলে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসনও এ বিষয়ে মনিটরিং করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পেলেও বাংলাদেশে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মত কখনো পণ্যের সংকট তৈরি হয় নি।
তিনি বলেন, যাতে কেউ এই ধরণের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে যেন পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে না পারে, এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাংবাদ কর্মীদের প্রতিবেদন তৈরীসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারকে সহায়তা করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে