সাইদুল ইসলাম, লন্ডন থেকে: [২] একুশে গানের রচয়িতা প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট, আব্দুল গাফফার চৌধুরী মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) লন্ডন সময় সকাল ৬.৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্ণেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি জানিয়েছেন লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন্নবী চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর।
[৩] তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা অসুস্থ্যতায় ভুগছিলেন। গত ১৩ এপ্রিল, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মারা যান তার মেয়ে বিনীতা চৌধুরী। এর পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বর্তমান বার্নেট হাসপাতালেই গাফফার চৌধুরীর মরদেহ রাখা আছে। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
[৪] এদিকে এই কিংবদন্তীর মহাপ্রয়াণে যুক্তরাজ্য জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
[৫] উল্লেখ্য, গাফফার চৌধুরী, ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা মোসাম্মৎ জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনেরা হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর লন্ডনেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন গাফফার চৌধুরী।
[৬] সাংবাদিকতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, ছোটদের উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘সম্রাটের ছবি’, ‘ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা’, ‘বাঙালি না বাংলাদেশী’সহ তার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় ৩০। এছাড়া তিনি কয়েকটি পূর্ণাঙ্গ নাটক লিখেছেন। এর মধ্যে আছে ‘পলাশী থেকে বাংলাদেশ’, ‘একজন তাহমিনা’ ও ‘রক্তাক্ত আগস্ট’। সম্পাদনা: মহসীন কবির।
আপনার মতামত লিখুন :