সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য গত জুলাইয়ে গঠিত হয়েছে পে কমিশন। প্রজ্ঞাপনের নিয়ম অনুযায়ী কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছিল। তবে কমিশন জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই সুপারিশ জমা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
চাকরিজীবীদের প্রতিবাদ ও আল্টিমেটাম
সরকারি কর্মচারীরা নতুন পে স্কেলের সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও কমিশন সুপারিশ জমা না দেওয়ায় শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) শাহবাগ শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেন চাকরিজীবীরা।
১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেল গেজেট প্রকাশ, জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ না হলে ১৭ ডিসেম্বর কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
কমিশন জানায়, আন্দোলনের চাপের কারণে নয়, নিয়মিত প্রক্রিয়াতেই দ্রুত সুপারিশ চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখনও দেওয়া হয়নি। কমিশনের হাতে ডিসেম্বরের মাত্র সাতটি কার্যদিবস রয়েছে, যা সুপারিশ চূড়ান্ত করার জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে।
কমিশনের এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই এগিয়েছে, এবং খুব শিগগিরই সুপারিশ জমা দেওয়া হবে। তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ সম্ভব হবে কি না, তা তিনি নির্দিষ্টভাবে বলেননি।
সরকারি ও কমিশন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পুরো ডিসেম্বরই সুপারিশ চূড়ান্ত করতে লাগতে পারে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করা হবে। ফলে চাকরিজীবীদের আল্টিমেটামের সময় অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশের সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে। উৎস: নিউজ২৪