সরকারি কর্মজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো তৈরি করতে জাতীয় পে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের কাছে সরকারি চাকরিজীবীদের দাবি ছিল, নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়া। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারই নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করে যাবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সম্প্রতি এক বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকার নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করবে না বলে আভাস পাওয়া গেছে।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচিত সরকার পে কমিশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ অর্থ উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পরই কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীরা জানিয়েছেন, নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা না পড়লে তারা কমিশনের ওপর চাপ বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণেরও ইঙ্গিত দেন তারা।
সূত্র জানায়, নতুন পে স্কেলের দাবিতে সব কর্মচারী সংগঠনকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা চলমান। ইতিমধ্যে কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃত্বে ১২টি কর্মচারী সংগঠন এই দাবিতে আন্দোলনের জন্য জোটবদ্ধ হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীরা জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে স্কেল কার্যকরের গেজেট না হলে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে যাবেন তারা।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়ের আহমেদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে যদি দাবি মানা না হয় তাহলে দাবি আদায়ে যেকোনো কর্মসূচি দিয়ে পিছপা হব না।’
ডিসেম্বরে নতুন পে স্কেলের গেজেট হলে কর্মচারীরা আশ্বস্ত হবেন বলে জানা গেছে।