গাজার ওপর ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের একতরফা অবরোধ ভেঙে সারা পৃথিবী থেকে ছুটে চলা ত্রাণবাহী বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালির ওট্রান্টো থেকে ফ্লোটিলার বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এ যোগ দিয়েছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল আলম মিডিয়া ফ্লোটিলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
একই সঙ্গে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের উদ্দেশ্য এবং গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।
শহিদুল আলম বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে ২০০৭ সাল থেকে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজায় মানুষ নির্বিচারে গণহত্যার শিকার হচ্ছে, সেখানে চলছে ইসরায়েল সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। এসব খবর ইসরায়েলি গণমাধ্যগুলো প্রতিনিয়ত উপেক্ষা করে যাচ্ছে।
এই উপেক্ষা ভাঙার লক্ষ্যে একটি মিডিয়া ফ্লোটিলার আয়োজন করা হচ্ছে। ‘বাংলাদেশের সব মানুষের ভালোবাসা নিয়ে অংশ নিচ্ছি’ উল্লেখ করে শহিদুল আলম বলেন, ‘এই সংগ্রামে যদি আমরা পরাজিত হই, তাহলে মানবজাতি পরাজিত হবে। যাওয়ার পর আমি প্রতিদিনই যতটা সম্ভব তথ্য ও ছবি পাঠাতে চেষ্টা করব। জানামতে এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে কেউ এ ধরনের ফ্লোটিলাতে অংশ নেবে।
শহিদুল আলম আরো বলেন, ‘সারা পৃথিবীর জনগণ ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি সমর্থন জানিয়ে পাশে দাঁড়ায়, সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী ফিলিস্তিনে এত বড় একটা গণহত্যায় কিছুই করতে পারছে না। বিভিন্ন দেশের জনগণ নিজেদের মতো করে এক ধরনের রেজিস্ট্যান্স (প্রতিরোধ) রাখছে, যেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যার অংশ হিসেবে এই ফ্লোটিলা হচ্ছে। এই যাত্রায় অনেক বিপদ থাকতে পারে।
কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমরা আদৌ পৌঁছাতে পারব কি না, জানি না। এসব মেনে নিয়েই সবাই অংশ নিচ্ছে।’ এদিকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় দেশ স্পেন ও ইতালি। সূত্র: কালের কণ্ঠ